মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: ছয় মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এ আদেশ দেন।

ওই মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির জামিন বিষয়ে করা আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়া মামলাটির বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আইনজীবীর তথ্যমতে, ওই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন সহিদুর। আবেদনটি খারিজ করে গত ১৯ জুলাই হাইকোর্ট আদেশ দেন। একই সঙ্গে তথ্য গোপন করে জামিনের আবেদন করায় তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে আপিল বিভাগে জামিনের আবেদন করেন সহিদুর। আবেদনটি চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে সহিদুর রহমান খানের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন শুনানি করেন।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগপত্রভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য বাকি আছে। এ জন্য ৩ সেপ্টেম্বর দিন রয়েছে। মামলার বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আপিল বিভাগ সহিদুরের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়া মামলাটির বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন। লিভ টু আপিল খারিজ হওয়ায় সহিদুর রহমানকে হাইকোর্ট যে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন, তা বহাল রয়েছে।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর ও তাঁর ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় আমানুর ছাড়াও তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ওরফে কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান ওরফে বাপ্পাসহ ১৪ আসামি রয়েছেন।