‘এই প্রজন্মের নারীরা পিছিয়ে নেই’

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সামার স্কুলের সমাপনী উপলক্ষে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রুবানা হক। আজ নগরের এম এম আলী সড়কে এইউডব্লিউর মিলনায়তনেজুয়েল শীল

‘শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর ওপর বৈষম্য রয়ে গেছে এখনো। তবে এই প্রজন্ম পিছিয়ে নেই। এই প্রজন্মের নারীরা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের চলমান এই পরিস্থিতিতে নারী শিক্ষার্থীরাও তাঁদের ভূমিকা পালন করেছে। এই সামার স্কুলে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা নিজ নিজ জায়গা থেকে এই বৈষম্য দূর করতে কাজ করে যাবে’।

চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) সামার স্কুলের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রুবানা হক। আজ মঙ্গলবার নগরের এম এম আলী সড়কে এইউডব্লিউর মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়। এবারের সামার স্কুলে দেশের বিভিন্ন জেলার ৮৫ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।

এবার চতুর্থবারের মতো সামার স্কুলের আয়োজন করেছে এইউডব্লিউ। ২০১৯ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক মাসব্যাপী এ আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারও এর পৃষ্ঠপোষকতা করেছে শেভরন বাংলাদেশ। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর’ গেয়ে শোনান সামার স্কুলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। এরপর বক্তব্য দেন সামার স্কুলের পরিচালক মহিউদ্দিন আহসানুল কবির চৌধুরী। এরপর সামার স্কুলের প্রশিক্ষকেরা বক্তব্য দেন। এ সময় তাঁরা শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হওয়ার পরামর্শ দেন।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পূজা বৈদ্য জানান, এক মাস আগে যখন এসেছিলেন, তখন তিনি ভয়ভীতি নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এখানের আসার পর তাঁর ভয় কেটেছে। বিভিন্ন কাজে তাঁর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। এ কারণে সবার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে পারছেন।

সনদ হাতে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সামার স্কুলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আজ নগরের এম এম আলী সড়কে এইউডব্লিউর মিলনায়তনে
জুয়েল শীল

অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রশিক্ষকেরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রিক্রুটমেন্ট পরিচালক সুমন চ্যাটার্জি, সামার স্কুলের সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা।