আশুলিয়ায় সংঘর্ষে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির প্রতিবাদ
আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। পাশাপাশি শ্রমিক হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানিয়েছে তারা।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি এ দাবি জানায়। কমিটির পক্ষে গণমাধ্যমে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে পোশাকশ্রমিকেরা ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলেন। এর ফলে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের খড়্গ তাঁদের ওপর নেমে এসেছিল। সে সময় আওয়ামী সরকার চারজন শ্রমিককে হত্যা করে। এরপর জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে পোশাকশ্রমিকেরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন–সংগ্রাম করেছেন। আশুলিয়ায় অনেক পোশাকশ্রমিক এই আন্দোলনে শহীদ হন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পোশাকশ্রমিকেরা বন্ধ কলকারখানা খুলে দেওয়া, বকেয়া ও মজুরির দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করেন। তখন সরকার এই আন্দোলনকে ‘বহিরাগতের উসকানি’, ‘প্রতিবিপ্লবী’ ট্যাগ লাগিয়ে নস্যাৎ করতে চেয়েছে। শ্রমিকের বাস্তবসম্মত দাবিগুলো এড়িয়ে গিয়ে আন্দোলন দমন করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দায়দায়িত্ব তারা নিচ্ছে না। বরং শ্রমিক হত্যার মধ্য দিয়ে শ্রমিকবিরোধী অবস্থান নিয়েছে।
এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত বন্ধ কারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিকদের বকেয়া, সার্ভিস বেনেফিট পরিশোধসহ সব দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর আর যেন একটি গুলিও না চলে, সে বিষয়ে সরকারকে শক্ত অবস্থান নেওয়ার দাবি জানানো হয়।