ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সত্যেন বোস পাঠাগার ভাঙচুরের নিন্দা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ‘সত্যেন বোস পাঠাগার’-এ হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাঠাগারটির সাবেক সদস্যরা। তাঁরা পাঠাগারটি পুনরায় চালু করে ক্ষয়ক্ষতি পূরণে আর্থিক সহায়তা করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন বোস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। আইনস্টাইনের সঙ্গে বোস-আইনস্টাইন তত্ত্ব রয়েছে তাঁর। তাঁর অবদানকে জাতির সামনে তুলে ধরতে ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান অনুসন্ধিৎসু যুক্তিশীল মনন তৈরি করতে ১৯৯৭ সালে ‘সত্যেন বোস পাঠাগার’–এর কার্যক্রম শুরু করে। শুরুতে নির্দিষ্ট কক্ষ বরাদ্দ না পাওয়ায় বিভিন্ন হলের বিভিন্ন রুমে ভাগ করে পাঠাগারটির কার্যক্রম চলে। পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে তৎকালীন হল প্রশাসন পাঠাগারটির জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নতুন নতুন সদস্য যুক্ত হয়ে পাঠাগার থেকে বই নিয়ে পড়াশোনা করে। পরে সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, বিজ্ঞান ও কলা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা–পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধ রাখে। তখন জগন্নাথ হল প্রশাসন পাঠাগারটি তালাবদ্ধ করে রাখে; কিন্তু গত সোমবার বিগত সরকারের ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা পাঠাগারটির তালা ভেঙে পাঠাগারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে জানা গেছে। ওই দিনই পাঠাগারের বর্তমান সম্পাদককে মারধরের হুমকি ও গালাগাল করা হয়। পাঠাগারের বিভিন্ন জিনিস জব্দ করা হয়। পাঠাগারের একজন সংগঠক এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে তাকে মারধর করা হয়। পাঠাগারের সাবেক সদস্য হিসেবে আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’