ওয়ালটন এসি: স্বস্তি ও আরামে গ্রাহকের আস্থা
দেশের সর্ববৃহৎ এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। ২০১১ সালে ওয়ালটন বাংলাদেশে প্রথম এয়ারকন্ডিশনার প্রোডাকশন প্ল্যান্ট স্থাপন করে। শুরু থেকেই ওয়ালটনের লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতারা যেন বিশ্বমানের ইলেকট্রনিকস পণ্য ও সেবা সাশ্রয়ী মূল্যে পেতে পারেন। সে জন্য এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনে বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও পরিবেশের সুরক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহক চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ওয়ালটনের নিজস্ব সুদক্ষ গবেষণা ও উদ্ভাবন নিরলস গবেষণার মাধ্যমে তৈরি করছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এয়ারকন্ডিশনার।
দেশে এসি উৎপাদন কারখানা স্থাপনের ফলে এ খাতে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ের পাশাপাশি হচ্ছে কর্মসংস্থান, বাড়ছে রপ্তানি আয়। বিশ্বের মাত্র ৯টি দেশ ভিআরএফ উৎপাদন করে, তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের ওয়ালটন। বর্তমানে ওয়ালটনের বার্ষিক দুই লাখ ইউনিট এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে।
ওয়ালটনের যত এসি
সব শ্রেণির ক্রেতাদের জন্য বাংলাদেশে ওয়ালটনের রয়েছে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মডেল ও অত্যাধুনিক ফিচার–সমৃদ্ধ এসি। বাসাবাড়ি বা গৃহে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ১ থেকে ২.৫ টনের ৪৯ মডেলের স্প্লিট এসি। ছোট, মাঝারি ও বড় স্থাপনার জন্য রয়েছে ১.৫ টন থেকে ৫ টনের ১৯ মডেলের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ কমার্শিয়াল এসি, যা শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অফিস, কমিউনিটি সেন্টার, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি মাঝারি স্থাপনায় ব্যবহারের উপযোগী। আর অতি বৃহৎ স্থাপনার জন্য রয়েছে ভিআরএফ ও চিলার।
বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনে ওয়ালটন বরাবরই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ওয়ালটনই বাংলাদেশে প্রথম নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ স্টার রেটিং স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে ফাইভ পয়েন্ট ফাইভ স্টার (৫.৫) রেটেড স্প্লিট এয়ারকন্ডিশনার, যা বিএসটিআই সার্টিফায়েড স্টার রেটিং মানদণ্ডে বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী। ‘ইনভার্না’ (এক্সট্রিম সেভার) সিরিজের ১ টনের এসিটির ইনপুট পাওয়ার ৬৯০ ওয়াট। অর্থাৎ এসিটি চলতে সর্বোচ্চ ৬৯০ ওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন ইকো মোডে ৮ ঘণ্টা করে চালালে মাসে এসিটিতে বিদ্যুৎ খরচ হবে মাত্র ১০৬.৮ ইউনিট। এ ছাড়া ওয়ালটনের বেশির ভাগ এসি ইনভার্টার প্রযুক্তিসংবলিত।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়
বিশ্বে সর্বপ্রথম ওয়ালটনই উদ্ভাবন করেছে অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল এসি। এ প্রযুক্তিতে কোনো প্রকার ইলেকট্রিক ডিভাইস বা ইন্টারনেট ছাড়া বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই শুধু ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে এসি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ওয়ালটন স্মার্ট এসি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে চালু এবং বন্ধ করাসহ বিদ্যুৎ বিলের হিসাবও সহজেই বের করা যায়।
ওয়ালটন এসি সর্বাধুনিক ফ্রস্ট ক্লিন টেকনোলজিসম্পন্ন। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসি নিজেই নিজেকে পরিষ্কার করে। এয়ার প্লাজমা প্রযুক্তি পজেটিভ আয়ন এবং নেগেটিভ আয়ন তৈরির মাধ্যমে বাতাসে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে রুমের পরিবেশকে রাখে নির্মল ও স্বাস্থ্যকর। টার্বো কুল টেকনোলজি নিমেষেই রুমকে ৪০ শতাংশ দ্রুত ঠান্ডা করে। ওয়ালটন এসিতে রেফ্রিজারেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত আর-৩২ এবং আর-৪১০ গ্যাস পরিবেশকে রাখে নির্মল ও সুরক্ষিত। ইনভার্টার টেকনোলজি অধিক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে এবং কম্প্রেসরের গতি সামঞ্জস্য করে রেফ্রিজারেন্ট প্রবাহের হার নিয়ন্ত্রণ করে। এতে কম্পন ও শব্দ অনেক কম হয়। ফোর-ডি এয়ার ফ্লো টেকনোলজি রুমের প্রতিটি কোনায় নির্মল ও স্বাস্থ্যকর বাতাসের প্রবাহ নিশ্চিত করে।
ওয়ালটন এসিতে ব্যবহৃত ইউভি কেয়ার টেকনোলজি ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এর হট অ্যান্ড কুল টেকনোলজি প্রয়োজন অনুযায়ী রুমের তাপমাত্রাকে উষ্ণ ও শীতল করে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ আরাম ও স্বস্তি নিশ্চিত করে। থ্রি ইন ওয়ান কনভার্টার টেকনোলজির এসি গ্রাহকের রুমের আয়তন অনুযায়ী ১.৫ টন থেকে ১ টন এবং পৌনে ১ টনে রূপান্তর সুবিধা রয়েছে।
ওয়ালটন প্লাজা ও ই-প্লাজায় এসিসির এসি
এসিসি (ACC) বিপুল জনপ্রিয় গ্লোবাল ব্র্যান্ড। ১৯৬৮ সাল থেকে ইউরোপে ব্যাপক সুনাম ও ঐতিহ্যের সঙ্গে এসিসির পণ্য বাজারজাত হয়ে আসছে। গত বছর আন্তর্জাতিক বিডিংয়ে বেশ কিছু নামকরা বৈশ্বিক কোম্পানিকে হটিয়ে এসিসিসহ অর্ধশতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় তিনটি ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ডের স্বত্ব লাভ করে ওয়ালটন।
অভিজাত ও রুচিশীল গ্রাহকদের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দিতেই দেশের বাজারে এসিসির এসি উন্মুক্ত করেছে ওয়ালটন, যা পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা ও ই-প্লাজায়। এই এসিতে এসিসির অর্ধশতাব্দীর ঐতিহ্য ধরে রাখা হয়েছে। এর ডিজাইন ও কনফিগারেশনে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির এ এসিটি সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী।
১.৫ টনের এসিসি ব্র্যান্ডের এসিটির COP (W/W): ৪.২৫। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ইনভার্টার কম্প্রেসর, প্রো ক্লিন ও প্লাজমা কেয়ার প্রযুক্তি, ৫ ইঞ্চির ইন্টিগ্রেটেড টিএফটি ডিসপ্লে, আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট, লুভরড ফিন, অ্যাডজাস্টেবল ইকো মোডসহ অত্যাধুনিক নানা ফিচার। ফলে এসিসির এয়ারকন্ডিশনারে বাংলাদেশের গ্রাহকেরা পাচ্ছেন প্রকৃত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ব্যবহারের সুবিধা, স্বাদ ও অভিজ্ঞতা।
ওয়ারেন্টি-গ্যারান্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবা
ওয়ালটন এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে রয়েছে ১০ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ৭৯টি সার্ভিস সেন্টারের পাশাপাশি ৫০০টির বেশি সার্ভিস পার্টনারের মাধ্যমে দেশব্যাপী এসির গ্রাহকদের দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হচ্ছে। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানরা প্রতি ১০০ দিন পরপর ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন।
বিশেষ সুবিধা
ওয়ালটন ই-প্লাজায় এসি কেনায় চলছে ‘ঈদ ফেস্ট’ অফার। এর আওতায় ৩১ মে ২০২৩ পর্যন্ত ওয়ালটন ই-প্লাজা থেকে নির্দিষ্ট মডেলের এসি ক্রয়ে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন ক্রেতারা। এদিকে ‘এসি এক্সচেঞ্জ অফার’–এর আওতায় যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরোনো এসির বদলে ওয়ালটনের নতুন স্প্লিট এসিতে ২০ হাজার ৮০০ টাকা এবং কমার্শিয়াল এসিতে গ্রাহকেরা ৩৬ হাজার ৩৬০ টাকা পর্যন্ত মূল্যছাড় পাচ্ছেন। এ ছাড়া ওয়ালটন এসিতে ফ্রি ইনস্টলেশন, জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইএমআই, সহজ কিস্তিসহ নানা সুবিধা রয়েছে।
ওয়ালটন এসি রপ্তানি কার্যক্রম
ক্রেতা ও দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে সব সময় পণ্য উৎপাদন ও সেবা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এসিসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। ওইএম-এর (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) আওতায় এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এয়ারকন্ডিশনার রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি গ্লোবাল মার্কেটে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, মালি, ইয়েমেন, তিমুর ইত্যাদি দেশে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি রপ্তানি হচ্ছে।