বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে কর্মসূচি পালন করেনফাইল ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগামীকাল শুক্রবার ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ‘সারা দেশে গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে’ এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এতে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এই কর্মসূচির কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। পরে রাতে আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম ওই কর্মসুচির কথা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। সারজিস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের কার্যালয় থেকে ছেড়ে দিলেও এখনো ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলসহ অসংখ্য ছাত্র–জনতাকে কারাগার ও রিমান্ডে নির্যাতন করা হচ্ছে। জুলুম–নির্যাতনে নিষ্পেষিত ছাত্র–জনতা মুক্তির প্রহর গুনছে। অসংখ্য ছাত্র–জনতা হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ছাত্রসমাজ ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। প্রতিমুহূর্ত কাটাতে হচ্ছে গ্রেপ্তার ও গুম হওয়ার আতঙ্কে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষিক শেহরীন আমিন ও নুসরাত জাহান চৌধুরীর গায়ে হাত তুলেছেন পুলিশ সদস্যরা। এই ঘৃণ্য হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা কোনো ব্যক্তিস্বার্থের জন্য আন্দোলন করছি না। সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কী অপরাধে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হলো? এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলন থামাব না।’

আন্দোলনে নিহত, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সবার স্মরণে এবং ‘গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল শুক্রবার নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়, সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া-কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা ও জুমার নামাজ শেষে ছাত্র–জনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সব স্তরের নাগরিকদের এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।