‘পাতিলসাঁতার’ থেকে সেতু

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কাচীহারা আলাই পূর্ব পাড়া গ্রামের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেত ‘পাতিলসাঁতার’ দিয়ে। এ নিয়ে ২০১০ সালের ১২ জুলাই ‘আলোর পথে পাতিলসাঁতার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় প্রথম আলোয়। খবরটি সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। পাতিলসাঁতার থেকে কীভাবে তৈরি হলো সেতু? এখন কী অবস্থা?

২০১২ সালে সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়
ছবি–প্রথম আলো

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কাচীহারা আলাই পূর্ব পাড়া গ্রামটি আলাই বিলের মাঝখানে। বর্ষায় সেখানে থাকে অথই পানি। গ্রামটির সঙ্গে স্থলভাগের যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌকা ও পাতিলসাঁতার। সেখান থেকে পাতিলসাঁতার দিয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন কাচীহারা সরকারি প্রাথমিক ও কাচীহারা উচ্চবিদ্যালয়ে যাতায়াত করত।

২০১০ সালের ১২ জুলাই ‘আলোর পথে পাতিলসাঁতার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় প্রথম আলোয়। খবরটি সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। তার কয়েক মাস পর প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের পারাপারের জন্য দুটি নৌকা দেওয়া হয়। ওই নৌকায় শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীরা দুই বছর যাতায়াত করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে ২০১২ সালে সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিমে কাচীহারা আর পূর্ব পাশে আলাই পূর্ব পাড়া গ্রাম। মাঝখানে আলাই বিলটি দুটি গ্রামকে আলাদা করেছে। বর্ষা মৌসুমে আলাই পূর্ব পাড়া গ্রামের চারপাশে অথই পানি থাকলেও এখন পানির গভীরতা কম। আলাই খালটির ওপর একটি সেতু দাঁড়িয়ে আছে। সেতুর পূর্ব পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। পশ্চিম পাশে মাটি ফেলা হলেও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মিত হয়নি এখনো। ফলে ১০ বছর আগে পাকা সেতু নির্মিত হলেও সেতুর ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করে না। তাই গ্রামবাসীর কাজে আসছে না সেতুটি।