বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলের কলাতলী পয়েন্টে আজ শুক্রবার বিকেলে মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তবে সমুদ্রসৈকতে নিয়োজিত লাইফগার্ডের সদস্যদের উদ্ধার তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ওই ট্রলারে থাকা ২১ জন।
সমুদ্রে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধার তৎপরতায় কাজ করে বেসরকারি লাইফগার্ড সি-সেফ। এর তত্ত্বাবধায়ক মো. ওসমান গণি বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবতে দেখে লাইফগার্ডের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির মধ্যেই সাগরে নেমে ২২ জন জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এর মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা জালাল আহমেদ (৪৮) নামে এক জেলেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
উদ্ধার জেলেদের একজন বলেন, তিন দিন আগে ট্রলারটি নিয়ে ২২ জেলে গভীর সাগরে ইলিশ ধরতে রওনা দেন। বৈরী পরিবেশে সাগর উত্তাল থাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা উপকূলের দিকে ফিরতে শুরু করেন। আজ বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের আনুমানিক পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার দূরে তাঁদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এরপর ঝোড়ো হাওয়ায় ট্রলারটি ডুবতে শুরু করে।
লাইফগার্ডের সদস্যরা জানান, ডুবে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি রশি দিয়ে আরেকটি ট্রলারের সঙ্গে বেঁধে উপকূলের কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়েছে। কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, একজনের মৃত্যু হলেও দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারের বাকি ২১ জেলে সুস্থ রয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মাছ ধরার ট্রলার ও নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজারের আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ বি হান্নান বলেন, আজ শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে কক্সবাজারে ২৪ ঘণ্টায় এটি সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড।