ট্রাইটেকের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে এমএনআর ডিজাইন লিমিটেডের গোল্ড সার্টিফিকেশন অর্জন
দেশের শীর্ষস্থানীয় অ্যাপারেল প্রতিষ্ঠান এমএনআর ডিজাইন লিমিটেড পরিবেশবান্ধব পোশাক উৎপাদনে বৈশ্বিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। তারা আধুনিক কারখানার জন্য ইউএসজিবিসির এলইইডি রেটিং সার্টিফিকেশনের আওতায় টেকসই গ্রীন বিল্ডিং নির্মাণের মাধ্যমে সম্মানজনক গোল্ড সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
এমএনআরের নতুন কারখানাকে আরও পরিবেশবান্ধব করতে ট্রাইটেকের অত্যাধুনিক এইচভিএসি সিস্টেম একটি অনুকরণীয় এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
সুপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক কেন্দ্রীয় শীতাতপ প্রযুক্তির সমন্বিত ব্যবহারে কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন, দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় নিশ্চিত হয়েছে।
সাধারণত গ্যাস জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় উচ্চ তাপমাত্রার (৪০০-৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এক্সহস্ট গ্যাস তৈরি হয়। এই বর্জ্য তাপ পরিবেশে ছেড়ে দিলে বাতাসে যে কার্বন নিঃসরিত হয়, তা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মতো সমস্যাকে ত্বরান্বিত করে। এই তাপকে ব্যবহার না করে ছেড়ে দেওয়া মূল্যবান জ্বালানির অপচয়। ট্রাইটেক এই বর্জ্য তাপকে ইজিবির মাধ্যমে বাষ্পে রূপান্তর করে। এরপর জাপানে তৈরি কাওয়াসাকি ব্র্যান্ডের অ্যাবসর্পশন চিলারের মাধ্যমে কুলিংপ্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে। এর ফলে এক্সহস্ট গ্যাসের তাপমাত্রা ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে এবং কার্বন নিঃসরণের ক্ষতিকর প্রভাব কমানো সম্ভব হয়। একই সঙ্গে এই চিলার বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে শুধু বর্জ্য তাপ দিয়ে পরিচালিত হয়। যা এমএনআরের বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এ ছাড়া ট্রাইটেকের সরবরাহকৃত যুক্তরাষ্ট্রের ডানহাম বুশ ব্র্যান্ডের স্ক্রু চিলার এবং ইউরোপে নির্মিত ভেরিয়েবল পাম্পিং সিস্টেম কারখানার কার্যকারিতা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিশেষ অবদান রেখেছে। এই প্রযুক্তি সমন্বয়ে সিস্টেমের কার্যকারিতা এবং স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা উৎপাদনপ্রক্রিয়াকে করেছে অত্যন্ত নির্বিঘ্ন ও নির্ভরযোগ্য।
শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে, সিস্টেম ব্র্যান্ডের এএইচইউ এবং ওভাল ডাক্টওয়ার্কের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্রেশ এয়ার সরবরাহ করা হয়েছে। এর ফলে ইনডোর এয়ার কোয়ালিটি উন্নত হয়েছে এবং কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এইচভিএসি কোম্পানি ট্রাইটেক তাদের আধুনিক প্রযুক্তি ও টেকসই সমাধানের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও সম্ভাবনাময় প্রকল্পে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যা দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।