হাইকোর্টে ৬ মাসের জামিন পেলেন মির্জা ফখরুল ও আব্বাস
রাজধানীর নয়াপল্টনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় কারাবন্দী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জন্য জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে এ মামলায় জামিন চেয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস গতকাল সোমবার আবেদন করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। এ সময় আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, কায়সার কামাল, মো. রুহুল কুদ্দুস, সগীর হোসেন প্রমুখ শুনানিতে ছিলেন।
কায়সার কামাল বলেন, হাইকোর্ট মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। কেন তাঁদের জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল দিয়েছেন।
এ মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনবার নাকচ হয়। সর্বশেষ গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতেও তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। এ অবস্থায় গতকাল সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন চেয়ে আবেদনটি করা হয়।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বাসায় গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। ৯ ডিসেম্বর দুপুরে ডিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, ‘পুলিশের ওপর বর্বরোচিত হামলা, উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে’।
এর পর থেকে তাঁরা কারাগারে। উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান ও নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় একটি করে এবং রমনা থানায় দুটি মামলা হয়।