ভারতের অতিরঞ্জন সংখ্যালঘুদের অনিরাপদ করে তুলছে : সিপিবি সভাপতি

বক্তব্য দিচ্ছেন সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমছবি; সংগৃহীত

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেছেন, নিরাপত্তার প্রশ্নে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অস্থিরতা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতের অতিরঞ্জন সংখ্যালঘুদের অনিরাপদ করে তুলেছে।

আজ রোববার সকালে চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভে ফুল দেন তিনি। পরে সেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর যুদ্ধের স্মৃতিচারণ নিয়ে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিপিবি সভাপতি। গেরিলা বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

অনুষ্ঠানে সিপিবি সভাপতি শাহ আলম বলেন, কিছু মহল সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য তৈরি করছে। দেশে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এখনো মব জাস্টিসের নামে নৈরাজ্য চলছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করছে। সরকারের উচিত এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা। না হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

সিপিবি সভাপতি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটেছে। সে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ফ্যাসিস্টদের থেকে ভয়ের রাজনীতি মুক্ত হয়েছে, তবে রাষ্ট্রের শ্রেণি চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি। মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও দেশে এখনো গণতন্ত্র কায়েম হয়নি। দেশ বাঁচাতে হলে গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে লড়াইয়ে ১৯৭২-এ সংবিধান রচিত হয়। এখন কেউ কেউ জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা, ৭২-এর সংবিধান বাতিল করার কথা বলে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করছেন। ফলে স্বৈরাচারবিরোধী জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল তার মধ্যে ফাটল ধরছে। যারা এই বিতর্ক সৃষ্টি করেছে তারা স্বৈরাচারের দোসর।

গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার উদয়ন নাগের সভাপতিত্বে এবং জেলার সদস্যসচিব ফজল আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তপন দস্তিদার, পুলক দাশ, নুরুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ ও আবু তাহের প্রমুখ।