তথ্যচিত্রে ফিরে দেখা
প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
প্রথম আলো ট্রাস্ট সারা দেশের মেধাবী তরুণদের পাশে দাঁড়ায়। তাঁদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে তাঁদের পাশে থেকে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার এ কার্যক্রম কেমন চলছে?
প্রথম আলো ট্রাস্ট সারা বছর যে কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে তার বড় অংশজুড়ে আছে শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্পসমূহ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সুবিধাবঞ্চিত যেসব শিক্ষার্থী জীবনসংগ্রামের পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেন, তাঁদের দেওয়া হয় ‘অদম্য মেধাবী’ শিক্ষাবৃত্তি। দরিদ্রতম পরিবারের প্রথম নারী, যিনি উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজ গঠনে আগ্রহী, এমন ১০ জনকে প্রতি বছর দেওয়া হয় ‘অদ্বিতীয়া’ শিক্ষাবৃত্তি। এ ছাড়া রানা প্লাজা ধসে গুরুতর আহত-নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ জনের সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
প্রথম আলো ২০০৭ সাল থেকেই অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে আসছে। ২০০৯ সালে ট্রাস্ট গঠনের পর থেকে এটি নিয়মিত হয়। ২০১০ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে এর পরিধি আরও বাড়ে। ব্র্যাক ব্যাংক ও অন্যান্য দাতাদের সহযোগিতায় ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২০৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থী সহায়তা পেয়েছেন। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের সহায়তায় মোট ৯৪১ জন বৃত্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া অন্যান্য দাতাসংস্থা ও ব্যক্তি এই তহবিলের মাধ্যমে ২৬৫ জনকে বৃত্তির সহায়তা দিয়েছেন। বর্তমানে বৃত্তি পাচ্ছে ২২৯ জন। এই বৃত্তি সহায়তায় পড়াশোনা শেষ করে বিসিএস ক্যাডার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ নানা পেশার যুক্ত আছেন তাঁরা।
এদিকে, নারীশিক্ষা ও ক্ষমতায়নেও কাজ করে যাচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। ২০১২ সাল থেকে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এবং প্রথম আলো ‘ফার্স্ট ফিমেল ইন দ্য ফ্যামিলি স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ নামে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান শুরু করে। ট্রান্সকমের সহায়তায় ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪২ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পেয়েছেন। ২০১৭ সাল থেকে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড এই শিক্ষাবৃত্তির দায়িত্ব নেয়। নামকরণ করা হয় ‘অদ্বিতীয়া’ নামে। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহায়তায় ৫৬ জনসহ ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৯৮ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পেয়েছেন।
এ ছাড়া রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য গঠন করা হয়েছিল ‘মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল’। ঘটনার পর থেকেই এই তহবিল কার্যক্রম শুরু হয়। দুর্ঘটনায় পর তাৎক্ষণিক নানা উপকরণ সরবরাহ করা এবং আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে পুনর্বাসনের জন্য ১০১ জনের মধ্যে ১০০ জনকে ১ লাখ টাকা করে এবং ১ জনকে ৫০ হাজার টাকার অর্থসহায়তা দেওয়া হয়। পাশাপাশি আহত-নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ জনের সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে ২০১৪ সাল থেকে। প্রকল্পের আওতায় ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে পড়াশোনা করছেন।