মতিউর পরিবারের ৭১ বিঘা জমি, ৪ ফ্ল্যাট ও ১৩ কোটি টাকা জব্দের আদেশ
দ্বিতীয় দফায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আরও ৭১ বিঘা জমি (২ হাজার ৩৬৫ শতক) এবং ঢাকায় চারটি অ্যাপার্টমেন্ট (ফ্ল্যাট) জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা ১৩ কোটি ৪৪ টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ২৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, দ্বিতীয় দফায় এনবিআরের মতিউর ও তাঁর প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান, প্রথম স্ত্রীর মেয়ে ফারজানা রহমান ঈশিতা এবং দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তারের নামে থাকা ২ হাজার ৩৬৫ শতক জমি জব্দের আবেদন করা হয়। পাশাপাশি প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে থাকা মিরপুরের চারটি অ্যাপার্টমেন্ট জব্দের আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ৪ জুলাই মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আরও ৮৬৬ শতক জমি ও ঢাকার চারটি ফ্ল্যাট জব্দের (ক্রোক) আদেশ দেন আদালত।
দুদক আদালতকে বলছে, এনবিআরের সদস্য মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
সম্প্রতি মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও তাঁর ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার আদালত।
এবার পবিত্র ঈদুল আজহার সময় মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ছেলের বিলাসী জীবনযাপনের সূত্র ধরেই মতিউরের সম্পদের বিষয়টি আলোচনায় আসে।