প্রশ্নটা মাধ্যমিক এবং সমমানের পরীক্ষায় এবার যারা জিপিএ–৫ পেয়েছে, তারাও ভাবতে পারে। আবার আমাদের মতো চুল পাকা প্রবীণেরাও প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পারেন। শিখো–প্রথম আলো জিপিএ–৫ প্রাপ্ত কৃতী সংবর্ধনা ২০২২-এর উৎসবে কেন যাব?
আমি কেন যাব, এটা বলতে পারি। আমি যাব নিজেকে সাহস আর প্রেরণা দিতে। জিপিএ–৫ পাওয়া তরুণদের মধ্যে থাকলে নতুন উদ্দীপনা পাওয়া যায়। তাঁদের উজ্জ্বল মুখ, শাণিত প্রশ্ন, বুদ্ধিদীপ্ত কথা আমাদের আশা জাগায়। মনে হয়, এই কিশোর–তরুণেরাই তো বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ পরাজিত হবে না। মোবাইল ফোনের ব্যাটারিতে যেমন চার্জ দিতে হয়, জিপিএ–৫ উৎসব আমাদের তেমনি করে প্রাণশক্তি দেয়।
আর কৃতী শিক্ষার্থীরা কী পায় এই অনুষ্ঠান থেকে! সারা দেশে ৬৪ জেলায় আয়োজিত হবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট পাবে, আপ্যায়িত হবে। শিল্পীরা গান গাইবেন। আলোাকিত মানুষেরা দেবেন জীবনে চলার পথে সফল হওয়ার দিকনির্দশেনা। ঢাকায় ফ্যান্টাসি কিংডমে বা চট্টগ্রামে ফয়’স লেকে রাইডে চড়া যাবে, বড় ব্যান্ড দলও থাকতে পারে। প্রথম আলো আর শিখোর পক্ষ থেকে উপহার থাকবে।
কিন্তু আসল পাওয়া হলো প্রেরণা। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে। নতুন বন্ধু হবে। বড় মানুষদের কাছে থেকে দেখা যাবে।
বিশ্বের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যাই না কেন—হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সচিবালয়—একজন–দুজন সফল মানুষ এগিয়ে আসবেনই, ‘পরিষ্কার বাংলায় বলবেন, আমরা আপনাদের কৃতী ছাত্র সংবর্ধনায় গিয়েছিলাম।
আপনাদের দেওয়া ক্রেস্ট এখনো যত্ন করে রেখে দিয়েছি। ওই অনুষ্ঠানে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কিংবা মোজাফফর হোসেন স্যারের উপদেশ আমার জীবনের পাথেয় হয়ে আছে।’
কাজেই তোমরা যারা এবার মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়েছ, তারা
সাইটে যাও। এখনই নিবন্ধন করো। তোমার শহরেই আসছি আমরা। যেহেতু নিবন্ধন ফ্রি, আর এই অনুষ্ঠান তোমার জীবনের সলতেয় আলোর স্পর্শ দিতে পারে, তোমার জীবনটাকে আলোময় করে তুলতে পারে, এই সুযোগ কেন নেবে না?