মানব পাচার মামলায় সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদের তিন দিনের রিমান্ড

সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদফাইল ছবি

সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর পল্টন থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

এর আগে মন্ত্রী ইমরান আহমদকে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করে পুলিশ। আবেদনে বলা হয়, সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র জনশক্তি রপ্তানিতে দুই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্ট থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে সংবিধান পরিপন্থী অপরাধ করেছেন। মামলার প্রধান আসামি ইমরান আহমদ তাঁর স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলেকে ‘আমি প্রবাসী’ নামের একটি অ্যাপ খুলে মানব পাচার চক্রকে সহায়তা করেছেন।

রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হলে মামলার বাদী আলতাব খান মালয়েশিয়ার কোম্পানি থেকে তাঁর লাইসেন্সের মাধ্যমে চাহিদাপত্র গ্রহণ করেন। পরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে ইমরান আহমদ ও মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, তাঁদের সিন্ডিকেটভুক্ত ১০০ লাইসেন্সের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। পরে প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য দেড় লাখ টাকা করে চাওয়া হয়। বাদী তখন জানান, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে শ্রমিক পাঠানোর জন্য ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নেওয়ার কথা রয়েছে। পরে বাদীকে হুমকি দেওয়া হয় এবং ২৪ হাজার কোটি টাকা মালয়েশিয়ার মানব পাচার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে বলে রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান।

আরও পড়ুন

আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে ইমরান আহমদকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত।

সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানব পাচারের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সাবেক সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অব.), আহমেদ ইন্টারন্যাশনালের মালিক ও সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে গত ৩ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় মামলা হয়। মামলার বাদী আফিয়া ওভারসিজের মালিক আলতাব খান। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর বনানী থেকে ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।