সামরিক শক্তিতে তিন ধাপ এগোল বাংলাদেশ

সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজপ্রথম আলো ফাইল ছবি

চলতি বছর বিশ্বে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪০তম। সে হিসাবে সামরিক শক্তিতে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিমত্তার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।

বিশ্বের ১৪৫টি দেশের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে সম্প্রতি এ তালিকা প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ডটকম। ২০০৬ সাল থেকে প্রতিবছরই এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা তৈরি করা হয় সামরিক শক্তিমত্তার সূচকের ভিত্তিতে।

একটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর আকার, অর্থনৈতিক অবস্থা, লজিস্টিক সক্ষমতা ও ভৌগোলিক অবস্থানের মতো ৬০টির বেশি বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করে এ সূচক তৈরি করা হয়। সূচকে যে দেশের স্কোর যত কম থাকে, সামরিক সক্ষমতার তালিকায় সেই দেশ তত এগিয়ে থাকে।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের শক্তিমত্তার সূচক অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৫৪১৯। গত বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল শূন্য দশমিক ৫৮৭১। এবার সবচেয়ে কম শূন্য দশমিক ০৬৯৯ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শীর্ষ দশের তালিকায় এরপর রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইতালি।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় ভারত চতুর্থ, পাকিস্তান নবম, মিয়ানমার ৩৫তম, শ্রীলঙ্কা ৭৭তম ও নেপাল ১২৮তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকার সবচেয়ে শেষে ১৪৫তম অবস্থানে রয়েছে ভুটান। শক্তিমত্তার সূচকে দেশটির স্কোর ৬ দশমিক ৩৭০৪।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সেনা রয়েছেন আনুমানিক ১ লাখ ৬০ হাজার। সেনাবাহিনীতে ট্যাংকের সংখ্যা ৩২০। সামরিক যান রয়েছে ১৩ হাজার ১০০টি। সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি রয়েছে ২৭টি। বাহিনীটির টোয়েড আর্টিলারির সংখ্যা ৪৩৭। আর রকেট আর্টিলারি রয়েছে ৭১টি।

অপর দিকে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর সদস্যসংখ্যা অনুমানিক ২৫ হাজার ১০০। নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর মধ্যে ফ্রিগেট সাতটি, করভেট ছয়টি, সাবমেরিন দুটি, টহল নৌযান ৫৫টি এবং মাইন ওয়ারফেয়ার রয়েছে ৫টি। তবে বাংলাদেশের কোনো ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ, বিমানবাহী রণতরি ও হেলিকপ্টারবাহী রণতরি নেই।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, বাংলাদেশের বিমানবাহিনীতে আনুমানিক ১৭ হাজার ৪০০ জন বিমানসেনা রয়েছেন। বাহিনীটির মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১৬। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান ৪৪টি, হেলিকপ্টার ৭৩টি, পরিবহন বিমান ১৬টি ও প্রশিক্ষণ বিমান ৮৭টি। পাশাপাশি বিশেষ অভিযানের জন্য বিমান বাহিনীর চারটি উড়োজাহাজ রয়েছে।

এদিকে গাজায় সামরিক হামলা চালানো ইসরায়েলের তালিকায় অবস্থান ১৭তম। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেন ১৮তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকায় ১২তম অবস্থানে থেকে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। ১৫তম মিসর আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে তুরস্ক (৮)।