বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা আইএফজের

দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে সাংবাদিকদের বৈশ্বিক সংগঠন দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। ব্রাসেলসভিত্তিক এই সংগঠন আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।

আইএফজে বলেছে, ‘এক সপ্তাহে দুবার সাংবাদিক শহীদুল ইসলামের ওপর হামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক মোহাম্মদ জুনায়েদ শেখ। বাংলাদেশে আইএফজের অংশীদার বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) সঙ্গে এসব হামলার নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

সংগঠনটি বলছে, শহীদুল ইসলামের ওপর হামলা হয়েছে ৮ নভেম্বর। সেদিন অজ্ঞাত প্রায় ৩০ জন খুলনার রূপসায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর হামলা করে। শহীদুল ইসলাম খুলনা গেজেটের নিজস্ব প্রতিবেদক ও নিউজ২১ বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন শহীদুল ইসলাম। এরপর ১৫ নভেম্বর তাঁর ওপর আবারও হামলা হয়।

আইএফজে বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মোহাম্মদ জুনায়েদ শেখের ওপর হামলা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ নভেম্বর ছাত্রদলের কিছু সদস্য তাঁর ওপর হামলা চালান। জুনায়েদ শেখ জানান, ছাত্রদের মধ্যে মারামারির ভিডিও ধারণের সময় ছাত্রদল সদস্যরা তাঁর ওপর হামলা করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলেও কাজ হয়নি। তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন তাঁরা।

চলতি বছরে বাংলাদেশে পাঁচজন সাংবাদিক খুন হয়েছেন উল্লেখ করে সংগঠনটি বলেছে, সরকারি চাকরিতে বিতর্কিত কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর পর থেকে বাংলাদেশি গণমাধ্যমগুলোর কণ্ঠ রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।

আইএফজে বিবৃতিতে বলেছে, ‘সহিংসতা, হেনস্তা ও হস্তক্ষেপের ভয় ছাড়াই সাংবাদিকদের তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে দিতে হবে। বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘটনা খুবই উদ্বেগের। গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষায় দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।’