দেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে শঙ্কা, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ (বিডিএমডব্লিউ) ও হিউম্যান রাইটস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ (এইচআরএবি)। সংগঠন দুটি বলেছে, অবিলম্বে এ বস্থার অবসান ঘটাতে হবে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
‘৩৬ জুলাই–২০২৪ বিপ্লবের সুফল সবার জন্য এবং সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার সুরক্ষায় দরকার রাজনৈতিক সমঝোতা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় সংগঠন দুটির নেতারা এ কথা বলেছেন। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এ সভার আয়োজন করা হয়।
দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অবসান ঘটাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি রবীন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, সরকার পতনের পর সহিংসতা, ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে সনাতন জাগরণ মঞ্চের সমাবেশ এবং ৫ নভেম্বরে ফেসবুকে ইসকনবিরোধী পোস্টকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাজারী লেনে সহিংসতা ও মামলায় গ্রেপ্তারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংখ্যালঘুদের মধ্যে গভীর শঙ্কা, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। অবিলম্বে এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
মাইনরিটি ওয়াচের মহাসচিব মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, যদি রাজনৈতিক কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হন, সেটিও কাম্য নয়। কেউ কোনো অপরাধ করলে বাড়িঘর পোড়ানো, লুটপাট নয়, আইন অনুযায়ী বিচার করতে হবে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন তিনি।
রাজনীতিতে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে বলে উল্লেখ করেন হিউম্যান রাইটস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক মাহবুল হক। তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ করার কথা সবার মুখে শুনেছি, কিন্তু বন্ধ করার কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পাইনি।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান (ইরান), জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।