অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। আজ সকালে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজেছবি: প্রথম আলো

অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ এবং দুই শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল। এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি টের পেয়ে কলেজ ছেড়ে চলে যান অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁদের দাবি অনুযায়ী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইনের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।

সরেজমিনে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে না যাওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিয়েছেন। সরকার পতনের পর বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে অবহিত করা হয় এবং শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিনকে মেডিকেল কলেজ থেকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে উল্টো স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের পরামর্শ অনুযায়ী মেডিকেল কলেজ পরিচালনা করতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা ও শিক্ষক মিলে গত দিনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন। সর্বশেষ তাঁরা অন্যায়ভাবে ১৩তম ব্যাচের ২০২০ ২১ শিক্ষাবর্ষের ইমন মুৎসুদ্দি নামের এক শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করেন। এ পরিস্থিতিতে তাঁরা সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করেছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও আন্দোলনের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।