চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কর্মীদের মারধরের শিকার হয়েছেন।
ভুক্তভোগীর নাম শফিকুর রহমান। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ–প্রচার সম্পাদক ছিলেন। চাঁদাবাজি, সাংবাদিককে মারধর এবং নিজেদের মধ্যে বারবার সংঘর্ষের ঘটনায় ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কমিটি বিলুপ্ত করেছিল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
শফিকুর রহমান ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, এই বর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর শেষ হয়েছে এক বছর আগেই। তবে শফিকুর সদ্য স্নাতক শেষ করেছেন। গত ১৪ নভেম্বর তাঁর স্নাতক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মৌখিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে তাঁর পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শফিকুর পরীক্ষা দিয়ে বের হন। তিনি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে এলে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী তাঁর পথরোধ করেন। সেখান থেকে শফিকুরকে কলা অনুষদের ঝুপড়িতে নিয়ে মারধর করা। খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল দল সেখানে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠায়।
এ বিষয়ে জানতে শফিকুরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাঁর সহপাঠী এ এইচ সোহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে শফিকুরকে মারধর করা হয়েছে। এখন তাঁর শারীরিক আর মানসিক অবস্থা ভালো না, তাই কথা বলতে পারছেন না।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এর আগে শফিকুর এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছিল। এর জের ধরে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়েই দ্রুত প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
পরীক্ষা দিতে আসা শফিকুর রহমানকে যাঁরা মারধর করেছেন, তাঁরা ক্যাম্পাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মামুনুর রশিদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
জানতে চাইলে মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি ক্যাম্পাসে ছিলেন না। তবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। পূর্বে অনেক অপকর্মে তারা করেছে। শিক্ষার্থীরা আজ সেসবের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নিষিদ্ধ সংগঠনের বিষয়ে কারও কোনো আপোষ নেই।