বিমসটেক বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ

বিমসটেকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সদস্যদেশগুলোর প্রতিনিধিরা। গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকেছবি : বাসস

বিমসটেকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সদস্যদেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান জোরদার করতে ভৌত, সামুদ্রিক ও ডিজিটাল যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো–অপারেশনের (বিমসটেক) সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে এ গুরুত্বারোপ করা হয়। আজ সোমবার বিমসটেকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় বলে বাসস জানায়।  

বিমসটেক বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সাতটি দেশ নিয়ে গঠিত। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সভাপতিত্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, ভুটান এবং নেপালের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি ও মিয়ানমারের প্রতিনিধি ও বিমসটেকের মহাসচিব বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ও জ্বালানি খাতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। সদস্যদেশগুলো সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ অন্বেষণের ওপরও জোর দিয়েছে। দেশগুলো বিমসটেক সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

বিমসটেকের মধ্যে সহযোগিতাকে আরও বাড়াতে ও আসন্ন লিডার্স সামিটের জন্য প্রস্তুতি নিতে একটি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সভাটি শেষ হয়।  

সদস্যদেশগুলো কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, নিরাপত্তা ও বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন—এসব বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা অনুসরণ করে। সহযোগিতার মধ্যে আটটি উপখাত রয়েছে। তা হলো সামুদ্রিক অর্থনীতি, পার্বত্য অর্থনীতি, শক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়ন।