নারীর মানবাধিকারে রাষ্ট্রকে সক্রিয় থাকতে হবে

ইউএন উইমেনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং বহ্নিশিখার যৌথ উদ্যোগে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা এবং নারী আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভাছবি: মহিলা পরিষদের সৌজন্যে

সমাজে প্রকৃত সমতার জন্য সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবারে সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সাম্যতার জন্য কাঠামোগত পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নারীর মানবাধিকারে নারী আন্দোলন ও রাষ্ট্রকে সক্রিয় থাকতে হবে।

আজ রোববার লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা এবং নারী আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘আন্তপ্রজন্মভিত্তিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নারী আন্দোলন শক্তিশালী করি’ শীর্ষক প্রকল্পের চলমান কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের পক্ষ থেকে তৈরি করা দাবিনামা সবার সামনে উপস্থাপনের জন্য এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ইউএন উইমেনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও বহ্নিশিখা এর যৌথ আয়োজন করে।

সভায় গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় সাম্য ও সমদর্শিতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সমতা প্রতিষ্ঠায় নারী-পুরুষ উভয়ই অংশীজন। সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবারে সমতা প্রতিষ্ঠিত না হলে প্রকৃত সমতা আসবে না। উন্নয়নে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দিতে হবে।

‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী এবং সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য খুশী কবির বলেন, ভূমি সংস্কার আইনের অধীন খাসজমির মালিকানা নারীবান্ধব করতে হবে, ভূমি ইস্যুতে নারীর অভিগম্যতার দিকটিও নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন করতে হবে, গৃহশ্রমিক বিশেষত নারী ও শিশুদের সুরক্ষাসহ শ্রমিকদের জন্য সমান মজুরি নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, লিঙ্গসমতা ও লৈঙ্গিক সাম্যতার জন্য কাঠামোগত পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সমাজে ক্ষমতার অংশীদারত্বের সম্পর্ককে পুনর্নির্মাণের জন্য নারীর সম্পত্তির অধিকার, গৃহস্থালি কাজের মূল্যায়ন, কেয়ার সার্ভিসের মূল্যায়ন, নিরাপদ-সহজবোধ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদের সম–অধিকার দিতে হবে। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মপরিকল্পনা তৈরির ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে নারী আন্দোলন ও রাষ্ট্রকে সক্রিয় থাকতে হবে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। এ ছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইজিডির সিনিয়র ফেলো অব প্র্যাকটিস মাহিন সুলতান এবং ইউএন উইমেন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তপতী সাহা।