যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি হচ্ছে, জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
সরকারের যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি হতে যাচ্ছে। এবার নতুন করে ২২তম বিসিএসের কর্মকর্তাদেরও এই পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ রোববার সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সংলাপে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির বিষয়ে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। কিছু দিন আগে ২৮ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যাঁদের (ডিসি পদ থেকে) তুলে আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২০ জন বিসিএস ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা। আশা করা যাচ্ছে তাঁরা এ মাস নাগাদ যুগ্ম সচিব হয়ে যাবেন। ইতিমধ্যে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভা শেষ হয়েছে। এ জন্যই তাঁদের উঠিয়ে আনা হয়েছে এবং তাঁদের জায়গায় নতুনদের পদায়ন করা হয়েছে। ডিসির পদটি উপসচিব পদমর্যাদার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, গত জুন পর্যন্ত যুগ্ম সচিব পদে কর্মকর্তা ছিলেন ৭০০ জনের বেশি। তাঁদের সঙ্গে নতুন করে পদোন্নতি পেলে যুগ্ম সচিবের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে প্রশাসনের ১৭৫ জন উপসচিবকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম সচিব করা হয়েছিল।
ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে কোনো পক্ষপাত নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সেরা কর্মকর্তাদের ডিসি বানানো হচ্ছে। আর বেছে বেছে সেরা কর্মকর্তাদের মন্ত্রীদের একান্ত সচিব (পিএস) পদে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। কেউ যাতে ইচ্ছেমতো পিএস নিয়োগ দিতে না পারেন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করে পিএস দিয়েছেন। কোনো মন্ত্রী জানেন না, কোন পিএস আসবেন। এখানে নিয়োগ দেওয়ার সময়ে দেওয়া হয়েছে সেরা কর্মকর্তাদের। কারণ, তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন, তিনি যাতে যথাযথভাবে সাহায্য করতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৪, ২৫ ও ২৭তম বিসিএসের মধ্যে যাঁরা ভালো কর্মকর্তা, তাঁরা বোর্ডে (ডিসি নিয়োগের জন্য ফিস্ট লিস্ট বা বাছাই বোর্ড) ওপরের দিকে আছেন। সেরা কর্মকর্তাদেরই ডিসি বানানো হয়েছে। কারণ, ডিসির কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিসি হচ্ছেন একটি জেলার মুখ্য সমন্বয়ক। সে জন্য তাঁকে ব্যবস্থাপনার যোগ্যতা, মাঠে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের যোগ্যতা থাকতে হবে। এই গুণাবলি দেখে সেরা কর্মকর্তাদের আনা হয়েছে। এটি করা হয়েছে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে। এর চেয়ে বিকল্প ছিল না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের একটি নীতি রয়েছে। সেটি হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সেটির জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রীও সেটি ইতিমধ্যে ব্যক্ত করেছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও বলেছেন। আমরা সেদিকে যাচ্ছি। সেটির জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া আছে—অত্যন্ত সচেতন ও সুন্দরভাবে কাজ করবেন। পেশাদারত্ব দেখাবেন।’
সংলাপ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।