মোবাইল অপারেটরের সুদ মওকুফ নিয়ে প্রশ্ন মুজিবুল হকের
চার মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফ করার সমালোচনা করে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘একজন কর কমিশনার ১৭০ কোটি টাকা মাফ করে দেয়, সেখানে এনবিআরের চেয়ারম্যান, অর্থসচিব ও অর্থমন্ত্রী কোথায়? এগুলো দেখলে সরকারের ইমেজ (ভাবমূর্তি) বাড়বে। দেশের স্বার্থে এটা কঠিনভাবে দেখা উচিত।’
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে মুজিবুল হক কথাগুলো বলেন।
চার মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করায় মূসকের (ভ্যাট) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বুধবার মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ বিষয়ে মুজিবুল হক বলেন, ‘গ্রামীণফোনসহ চারটি মোবাইল কোম্পানির সুদ উনি মাফ করে দিয়েছেন। এটা কেমন কথা হলো? তাহলে এনবিআরের চেয়ারম্যান, আর্থিক-ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের সচিব ও অর্থমন্ত্রী কোথায় গেলেন? তাঁরা কি এ খবরটা রাখেননি? এসব অনিয়ম যে হচ্ছে...।’
রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনকে উচ্ছেদের আগে তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার দাবি জানান মুজিবুল হক। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, পুরান ঢাকার বংশালের আগা সাদেক রোডের পাশের মিরনজিল্লা কলোনিতে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রায় তিন হাজার মানুষ বসবাস করেন। সেটা নিয়ে মার্কেট করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। হরিজন সম্প্রদায় এই জায়গার মালিক না হলেও মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত তাদের যেন উচ্ছেদ করা না হয়।
মুজিবুল হক অভিযোগ করেন, বড় বড় হাসপাতালে মানুষ মারা যাওয়ার পরও আইসিইউর বিলের জন্য লাশ আটকে রাখা হয়। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।