সারা দেশে আজ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘রেল ব্লকেড’

সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

ছয় দফা দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সড়ক আটকে রাখায় তীব্র যানজটে পড়ে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘রেল ব্লকেড’ বা রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা এলাকায় দিনভর সড়ক অবরোধের কারণে কার্যত ঢাকা নগরী স্থবির হয়ে পড়ে। কুমিল্লায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

সড়ক অবরোধে বসে শিক্ষার্থীরা ‘যাদের হাতে স্ক্রু ড্রাইভার, তাদের হাতে চক-ডাস্টার মানায় না’, ‘মামা থেকে মাস্টার, মামাবাড়ির আবদার’, ‘১১৩–এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘আসো মামা খেলা হবে’, ‘ক্রাফট মামা হঠাও, পলিটেকনিক শিক্ষা বাঁচাও’, ‘তুমি কে, আমি কে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’সহ নানা স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তখন শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার শুরু করেন।

৮ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লেন রাজধানীর শিক্ষার্থীরা

প্রায় আট ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকার সড়ক ছাড়েন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তাঁরা সড়ক ছেড়ে যান। গতকাল সকালে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেও এক ঘণ্টার জন্য সড়ক অবরোধ করেন। এতে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

ছয় দফা দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে একদল শিক্ষার্থী সাতরাস্তায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে সরকারি–বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ–টিএসসিসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীরা ছিলেন।

সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের কারণে সাতরাস্তা ও আশপাশের এলাকার সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। দিনভর বিক্ষোভ শেষে সড়ক ছেড়ে দেওয়ার পর সন্ধ্যায় সাতরাস্তা দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। অবশ্য যান চলাচল শুরু হলেও যানজটের তীব্রতা কমেনি। সকালে সাতরাস্তা অবরোধ করার পর মগবাজার থেকে মহাখালী রেলগেট পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর ধীরে ধীরে হাতিরঝিল, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজারসহ আশপাশের এলাকায় যানজটের তীব্রতা বাড়তে থাকে। এসব এলাকায় সাধারণ মানুষকে গণপরিবহন থেকে হেঁটে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীদেরও নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে। অনেক মানুষ এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন।

দাবি না মেনে নিলে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। আগামীকাল ঢাকাসহ সারা দেশে “রেল ব্লকেড” ঘোষণা করছি।
বাংলাদেশের কার্যনিবাহী সদস্য জুবায়ের পাটোয়ারী

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সাতরাস্তা অবরোধ করার কারণে মগবাজার থেকে মহাখালী রেলগেট পর্যন্ত সড়কে সরাসরি প্রভাব পড়েছে। এ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আবার বিজয় সরণি উড়ালসড়ক দিয়েও গাড়ি পার করা যাচ্ছিল না। এতে বিজয় সরণিতে যানজট তৈরি হয়।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, জাহাঙ্গীর গেট এলাকাতেও ছিল তীব্র যানজট। সড়ক অবরোধের কারণে সোনারগাঁও হোটেল ও হাতিরঝিল এলাকায় যানজট দেখা দেয়। বিকল্প সড়ক দিয়ে গাড়িগুলো পার করেও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।

গতকাল বেলা ২টা ৫০ মিনিটের দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সাতরাস্তায় আসে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। তাঁরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। সব দাবি মেনে নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তখন শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার শুরু করেন।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যনিবাহী সদস্য জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, ‘দাবি না মেনে নিলে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। আগামীকাল ঢাকাসহ সারা দেশে “রেল ব্লকেড” ঘোষণা করছি।’

ছয় দফা দাবি

বিক্ষোভের বিষয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী রাহেল রানা বলেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন চলছে। বিভিন্ন সময় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার শুধু আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু দাবি পূরণ হচ্ছে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথে থাকবেন।

ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

দ্বিতীয় দাবি, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং একাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।

ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সাতরাস্তা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। যান চলাচল বন্ধ রাখার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। গতকাল দুপুরে
ছবি: সাজিদ হোসেন

তৃতীয়ত, উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (দশম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চতুর্থ দাবি, কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোয় অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

পঞ্চম দাবি, স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা’ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করতে হবে।

আর ষষ্ঠ দাবি হলো পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নত মানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস এবং ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

কুমিল্লায় মহাসড়ক অবরোধ

গতকাল বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লার কোটবাড়ী এলাকায় অবস্থিত কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ী নন্দনপুর এলাকায় এসে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে বসে পড়েন। প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কের ওই অংশ অবরুদ্ধ থাকে। অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। কর্মসূচিতে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে বসে পড়লে স্থানীয় প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে না সরে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় সেনাসদস্যরা বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এতে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সরে যান এবং হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন।

কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি ছোড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

রেলপথেও অবরোধ

রাজশাহী, খুলনা, ফেনীসহ কয়েকটি স্থানে সড়কের পাশাপাশি রেলপথও অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। রাজশাহীর তিনটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গতকাল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। দুপুর ১২টার দিকে নগরের ভদ্রা মোড় এলাকায় তাঁরা অবস্থান নেন। এতে ওই মোড়ের তিন দিকের সড়কে যানজট দেখা দেয়। এ ছাড়া রেললাইন অবরোধের কারণে রাজশাহী থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলে সড়ক ও রেলপথে চলাচল শুরু হয়।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে খুলনা রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা খুলনা–চিলাহাটি রুটের রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন নগরের বয়রা জংশন এলাকায় আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। এ কারণে খুলনা স্টেশন থেকে খুলনা-ঢাকা পথের চিত্রা, খুলনা-পার্বতীপুর পথের রকেট, খুলনা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ পথের মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার সঙ্গে সারা দেশে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

ফেনী শহরের গোডাউন কোয়ার্টারের পাশের রেলগেট এলাকায় দেড় ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে কয়েক শ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা একটার দিকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা সরে যান।

বিভিন্ন স্থানে অবরোধ

প্রায় তিন ঘণ্টা পর সড়ক ছেড়েছেন চট্টগ্রাম নগরের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে সড়ক ছেড়ে সরে যান তাঁরা।

দুপুর ১২টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সিলেট নগরের চণ্ডীপুল এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে বেলা একটার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।

ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দীঘারকান্দা বাইপাস এলাকায় গিয়ে দুপুর সোয়া ১২টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। অবশ্য বিকেলের দিকে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।

বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বসে পড়েন তাঁরা। এ সময় তাঁরা নানা স্লোগান দেন।

একই দাবিতে বরিশাল, দিনাজপুর, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক–মহাসড়ক অবরোধ করেন।

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা]