‘আয়নাঘরের বন্দিদের’ মুক্তির দাবিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের অবস্থান

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেত এলাকায় আজ সোমবার রাতে ২০–২৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সেখানে অবস্থান নিয়েছেনছবি: সংগৃহীত

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) ‘আয়নাঘরের বন্দিদের’ মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও বন্দিদের স্বজনেরা। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেত এলাকায় আজ সোমবার রাতে ২০–২৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনেরা সেখানে অবস্থান নেন।

রাত ১০টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন মারুফ জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডিজিএফআইর ‘আয়নাঘরে’ অনেক মানুষকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাকেও সেখানে বন্দি রাখা হয়েছিল। এ কারণে বাকি বন্দিদের ছাড়িয়ে নিতে আমরা অবস্থান নিয়েছি। তাঁদের অক্ষত অবস্থায় হস্তান্তর না করা পর্যন্ত আমরা ফিরব না।’

আয়নাঘরের বন্দিদের মুক্তির দাবিতে অবস্থান নেওয়া আরেক সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল ফেরদৌস আজিজ রাত সোয়া ৯টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ২০–২৫ জন অবস্থান নিয়েছি। এই সংখ্যা আরও বাড়বে। বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান চলবে। আমাদের সঙ্গে গুম হওয়া স্বজনদের সংগঠন “মায়ের ডাক”ও যোগ দিয়েছে।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক, ব্রিগেডিয়ার (অব.) মো. হাসান নাসিরসহ আরও অনেকে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

হাসান নাসির প্রথম আলোকে বলেন, ‘বছরের পর বছর ডিজিএফআই, র‌্যাব ও পুলিশের বন্দিশালায় অসংখ্য মানুষকে গুম করে রাখা হয়েছে। আজ (সোমবার) রাতের মধ্যেই তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে দায়মুক্তির জন্য তাঁদেরকে মেরে ফেলা হতে পারে। যদি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা না হয় তাহলে পরবর্তী ঘটনার দায় ডিজিএফআইয়ের বর্তমান কর্মকর্তাদের নিতে হবে। আমরা দাবিগুলো সেনা কর্তৃপক্ষ ও সেনাপ্রধানকে পাঠিয়েছি। আমরা তাঁদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি।’

রেহানা বানু মুন্নি নামের এক নারী জানান, সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা পিন্টু ১১ বছর ধরে গুম আছেন। ভাইয়ের মুক্তির জন্য তিনি অবস্থান নিয়েছেন।