মতিউর পরিবারের আরও ৪ বিঘা জমি জব্দের আদেশ

মতিউর রহমানফাইল ছবি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আরও চার বিঘা জমি ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া মতিউর, তাঁর দুই স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ের নামে থাকা ১৯টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, তৃতীয় দফায় এনবিআরের মতিউর, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তার ও তাঁর আত্মীয় এম এ কাইয়ুম হাওলাদারের নামে থাকা ১৩৭ শতক (৪ বিঘা) জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের নামে বসুন্ধরায় থাকা একটি বাণিজ্যিক স্পেস জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মতিউর রহমান, তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, প্রথম স্ত্রীর কন্যা ফারজানা রহমান, ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তারের নামে থাকা ১৯টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন

এর আগে ১১ জুলাই মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৭১ বিঘা জমি (২ হাজার ৩৬৫ শতক) এবং ঢাকায় চারটি অ্যাপার্টমেন্ট (ফ্ল্যাট) জব্দের আদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা ১৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ২৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ৪ জুলাই মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আরও ৮৬৬ শতক জমি ও ঢাকার চারটি ফ্ল্যাট জব্দের (ক্রোক) আদেশ দেন আদালত।

দুদক আদালতকে বলছে, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

সম্প্রতি মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও তাঁর ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার আদালত।

আরও পড়ুন