আদালত থেকে লোহার খাঁচা তুলে নেওয়া উচিত: ড. ইউনূস
লোহার খাঁচার তৈরি আসামির কাঠগড়া আদালত থেকে তুলে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার ঢাকার জজকোর্ট প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা ভেবে ভালো লাগছে যে আজ আমাদের কাউকে লোহার খাঁচার ভেতর ঢুকতে হয়নি। আমি মনে করি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আদালত থেকে লোহার খাঁচা তুলে নেওয়া উচিত।’
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে হওয়া মামলার শুনানিতে অংশ নিতে সোমবার আদালতে যান নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। এদিন তিনিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে দেন। আগামী ৫ আগস্ট শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করা হয়েছে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন।
আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইউনূস আরও বলেন, ‘লোহার খাঁচা মানবতার প্রতি অপমান। কেন পশুর মতো একজন মানুষকে খাঁচার ভেতর ভরে রাখবে? এটা সরিয়ে ফেলা উচিত।’
তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে হওয়া মামলাটির বিচার দ্রুত শেষ করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির কোনো ভিত্তি নেই। তিনি কারও না কারও প্রতিহিংসার শিকার।
ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা এই মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের দায়ের করা অন্য একটি মামলায় মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে গত ১ জানুয়ারি ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন শ্রম আদালত। সেই সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের করা আপিল গত ২৮ জানুয়ারি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।