দক্ষিণের আরেকটি দুয়ার খুলছে

কচা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। গতকাল রাতে
প্রথম আলো

বরিশালের সঙ্গে খুলনা বিভাগের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের দুয়ার খুলবে আজ রোববার। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দুই মাস পর আজ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু।

সেতুটি উদ্বোধনের পর দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় সেতুটি ঘিরে কঁচা নদীর দুই তীরের মানুষ উচ্ছ্বাসে ভাসছেন। সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির পরিসমাপ্তি ঘটবে। বাঁচবে ফেরি পারাপারে সময়।

আজ সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে পিরোজপুর প্রান্তে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতুটির উদ্বোধন ঘোষণা করার কথা।

খুলনা-বরিশাল পথে ২৫ বছর ধরে বাস চালান আনোয়ার শেখ (৫৮)। গতকাল শনিবার সকালে বেকুটিয়া ঘাটে ফেরির অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, কচা নদীর ফেরি পারাপারে প্রায়ই ভোগান্তি পোহাতে হতো। খুলনা থেকে বরিশালে ফেরিমুক্ত চলাচল করতে পারবেন, এটা ভাবতেই আনন্দ পাচ্ছেন।

পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলে নদী পারাপারের ভোগান্তি দূর হবে।

সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাসুদ মাহামুদ বলেন, পিরোজপুর সদর ও কাউখালী উপজেলার মধ্যবর্তী কচা নদী দিয়ে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কটি বিচ্ছিন্ন ছিল। ফেরি পার হতে ৩০ মিনিট লেগে যেত। নদীর স্রোত তীব্র আকার ধারণ করলে সময় আরও বেশি লাগত।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। একই বছরের ১৮ জুলাই সেতুর কাজ শুরু করে চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুটির ১০টি পিয়ার ও ৯টি স্প্যান আছে। ৮৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।