পিলখানা হত্যাকাণ্ড: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির ‘গণহত্যা’ তদন্তে জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে ওই ‘গণহত্যা’ তদন্তে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি, সেনা-পুলিশ-বিজিবির একজন করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সমন্বয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা মানুষ জানতে পারেনি’ শিরোনামে গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব কুমার পোদ্দার আবেদনকারী হয়ে গত রোববার রিট করেন।
আইনজীবী তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তৎকালীন বিডিআরে সংঘটিত গণহত্যায় মূল পরিকল্পনাকারী ও নেপথ্যে কারা ছিল, এ বিষয়ে জাতীয়ভাবে পূর্ণাঙ্গ কোনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভুক্তভোগী পরিবার ও তৎকালীন সেনা কর্মকর্তারা ওই ঘটনা নিয়ে নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলেছেন, তদন্তে সরকার তেমন সহায়তা করেনি। তানভীর আহমেদ আরও বলেন, এমন প্রেক্ষাপটে জনসমক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে গণহত্যা তদন্তে জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। পাশাপাশি সেনা দিবস ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। আদালতের আজকের (মঙ্গলবার) কার্যতালিকায় রিটটি ২৪০ নম্বর ক্রমিকে ছিল। আগামী রোববার রিটটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।