মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত না দিলে ব্যবস্থা: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। ঢাকা, ৪ জুলাইছবি: সংগৃহীত

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে চাহিদামতো টাকা দিয়েও অনেক কর্মী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ করায় দিশাহারা হয়ে পড়েন তাঁরা। তাঁদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রার সঙ্গে সভা হয়েছে। তারা টাকা ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে। বিদেশগামী কর্মীরা যত টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণ দেখাতে পারবেন, তত টাকাই ফেরত দেবে এজেন্সি। ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে ১০০ বেসরকারি এজেন্সি অনুমোদন পায়। এর বাইরে কেউ কর্মী পাঠাতে চাইলে তাদের মাধ্যমে পাঠাতে হয়েছে। যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের কাগজপত্র কমবেশি ১০০ এজেন্সির সবার কাছেই আছে।

প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, অনেকে জায়গা-জমি বিক্রি করে, গবাদিপশু বিক্রি করে, ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে কষ্টার্জিত টাকা জমা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের যেতে না পারাটা দুঃখজনক।

১০০ এজেন্সির দায় নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতে কমবেশি সবাই দায়ী। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শিগগিরই উন্মুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ মাসের শেষ দিকে দুই দেশের গঠিত যৌথ কারিগরি কমিটির সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর শ্রমবাজার আবার চালু হবে। যেসব কর্মী শেষ সময়ে যেতে পারেননি, তাঁদের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে। শ্রমবাজার চালু হলে যাতে তাঁরা শুরুতে মালয়েশিয়া যেতে পারেন।

আরও পড়ুন

গত ৩১ মে ছিল মালয়েশিয়া প্রবেশের শেষ সময়। এর মধ্যে অনেকে দেশটিতে যেতে পারেননি নানা কারণে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৫ লাখ ৩২ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দেশটিতে গেছেন ৪ লাখ ৭৬ হাজার। ছাড়পত্র নিয়েও যেতে পারেননি ১৭ হাজার কর্মী। এ নিয়ে গত ২ জুন তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। ২ হাজার ৫৫ জন কর্মী কাগজপত্রসহ তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করেছেন।

আরও পড়ুন

তবে সংবাদ সম্মেলনে শুধু আটকে পড়া কর্মীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়েই কথা বলেছেন প্রতিমন্ত্রী। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে চক্র গঠন, সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা কর্মীদের কাছ থেকে আদায় করাসহ অন্য অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত কথা বলবেন বলে জানান তিনি।