চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২০৩

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় মৃত্যুর পর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছেফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে ময়মনসিংহে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ কিশোর মো. জামান মিয়া (১৭) মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জামান মিয়া পোশাক কারখানার শ্রমিক। এর আগে গত শুক্রবার রায়েরবাগে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ পথচারী মো. জাকির হোসেন (২৯) গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, পরবর্তী সময়ে সংঘাতে এ নিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে ২০৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া। সব হাসপাতালের চিত্র পাওয়া যায়নি।

জামান মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, জামান মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

পোশাকশ্রমিক জামান মিয়ার বড় ভাই রায়হান মিয়া আজ প্রথম আলোকে বলেন, জামান ময়মনসিংহ সদরের শেখেরচরের বাবুরহাটে একটি মেসে থাকত। গত রোববার বিকেলে শেখেরচর এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় জামান সেখানে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়। গুলি তার পেটের বাঁ পাশ দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। শরীরের একাধিক স্থানে গুলি লাগে।

জামানের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলের দেউয়াল ডাংরায়। তার বাবার নাম শহিদুল ইসলাম।