ডেসটিনির ট্রি প্ল্যান্টেশনের অর্থ আত্মসাতের মামলার রায় ২৮ নভেম্বর
বহুধাপ বিপণন (এমএলএম) প্রতিষ্ঠান ডেসটিনির ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতের মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। ২৮ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলম আজ সোমবার এ দিন ধার্য করেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ডেসটিনির ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। অন্যদিকে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও শাহিনুর রহমান। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে আদালত ২৮ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
এর আগে আজ কারাগারে থাকা মামলার আসামি ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, এমডি রফিকুল আমীন ও পরিচালক ফারাহ দীবাকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্যদিকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদ। বাকি ১৫ আসামি পলাতক রয়েছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১২ মে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ডেসটিনির রফিকুল আমীন, ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেন আদালত। রফিকুলকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে একটি (ট্রি প্ল্যান্টেশন) মামলায় রফিকুলসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী। এ মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই টাকার মধ্যে এলসি (ঋণপত্র) হিসেবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং সরাসরি পাচার করেছে আরও ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার।