নিহতদের তালিকা প্রকাশের দাবি বিভিন্ন দলের

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়ফাইল ছবি

ব্লক রেইড দিয়ে গণগ্রেপ্তার, গ্রেপ্তার–বাণিজ্য বন্ধ, ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদ।

গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভা থেকে এসব দাবি জানানো হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। একই সঙ্গে অবিলম্বে দমন-পীড়ন ও নির্যাতন বন্ধ, কারফিউ প্রত্যাহার, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা হয়।

সভার প্রস্তাবে বলা হয়, ছাত্র–জনতার ওপর চালানো অর্ধশতাব্দীর মধ্যে ভয়াবহতম আক্রমণ ও হত্যাযজ্ঞের দায় কাঁধে নিয়ে এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করেই সংকটের সমাধান করতে হবে।

আরেক প্রস্তাবে নাহিদ ইসলামসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল থেকে আটক নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে অবিলম্বে তাঁদের মুক্তি ও জনসম্মুখে আনার দাবি জানানো হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির রুবেল সিকদার, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের বেলাল চৌধুরী, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন প্রমুখ।

বামপন্থী সাতটি ছাত্রসংগঠনের মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট গতকাল এক বিবৃতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী ব্যক্তিদের সাদাপোশাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করে। তারা জোর করে আন্দোলন বন্ধের স্বীকারোক্তি আদায় করাসহ সব নির্যাতন বন্ধ, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং সারা দেশে ‘অব্যাহত গুম-খুন, নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তার’ বন্ধ করে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।

গণফোরাম সভাপতি পরিষদের সভা থেকেও হত্যাকারী ব্যক্তিদের বিচার, গণগ্রেপ্তার বন্ধ, ইন্টারনেট চালু করে দেওয়াসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এক যৌথ বিবৃতিতে ব্লক রেইড, মেস ও বাসায় তল্লাশি এবং গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান।