গ্রামীণফোনের পরিবেশবান্ধব বিলবোর্ড: সবুজ পৃথিবীর অঙ্গীকার

কক্সবাজারে বাংলাদেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব বিলবোর্ড স্থাপন করেছে গ্রামীণফোনছবি: বিজ্ঞপ্তি

দিন দিন কংক্রিটের অরণ্যে পরিণত হচ্ছে আমাদের চারপাশ। একের পর এক গড়ে উঠছে সুউচ্চ অট্টালিকা। ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে সবুজায়নের পরিমাণ। নিজেদের ভালোর জন্যই পরিবেশের দিকে মনোযোগ দেওয়াটা ক্রমেই জরুরি হয়ে উঠছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশকে অনুসরণ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্প ঝুঁকছে গ্রিন ইনিশিয়েটিভের দিকে। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনশিল্পও তার ব্যতিক্রম নয়। পর্যটন–নগরী কক্সবাজারে বাংলাদেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব বিলবোর্ড স্থাপন করেছে গ্রামীণফোন। অনন্য এই উদ্যোগ বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনশিল্পকে আরও পরিবেশবান্ধব করে তুলবে বলে আশা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

বাংলাদেশের বিলবোর্ডগুলোতে সাধারণত পিভিসি ভিনাইল ব্যবহার করা হয়। রাতে এই বিলবোর্ড আলোকিত রাখতে ব্যবহার করা হয় সাধারণ বিদ্যুৎ। পিভিসি ভিনাইল উপকরণটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। ব্যবহার শেষে এই পিভিসি ভিনাইলগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। তখন এই বর্জ্য থেকে ক্লোরিন গ্যাস, ডাই–অক্সিন গ্যাসের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান নির্গত হয়। নির্গত হওয়া এই রাসায়নিক উপাদানগুলো বাতাসের সঙ্গে মিশে পরিবেশ দূষিত করে। এগুলোর প্রভাবে মানুষের ক্যানসারও হতে পারে।

কক্সবাজারে স্থাপন করা গ্রামীণফোনের বিলবোর্ডটিতে ‘পিভিসি ফ্রি ইকো-ফ্রেন্ডলি ফ্রন্টলিট ভিনাইল’ ব্যবহার করা হয়েছে। এই উপকরণ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। এ উপাদান পুনর্ব্যবহারযোগ্য, পিভিসিমুক্ত এবং ভিনাইল মিডিয়াটিতে ক্ষতিকর কোনো ভারী রাসায়নিক উপাদান নেই।

গ্রামীণফোন পরিবেশবান্ধব বিলবোর্ড স্থাপন করেছে
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

রাতে এই বিলবোর্ড আলোকিত রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে সৌরশক্তি। ফলে কৃত্রিমভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার প্রয়োজন পড়ছে না।

কক্সবাজারেই এই বিলবোর্ড স্থাপন করার সুনির্দিষ্ট কারণ আছে। কক্সবাজারে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত অবস্থিত। পাহাড় ও সমুদ্রবেষ্টিত এ শহরে পরিবেশের ভালো থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। এ ছাড়া বাংলাদেশের বেশির ভাগ প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব এ অঞ্চলে বেশি পড়ে। তাই বাংলাদেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব বিলবোর্ড স্থাপনের জন্য কক্সবাজারকেই বেছে নিয়েছে গ্রামীণফোন।

উল্লেখ্য, এই ইকো-ফ্রেন্ডলি বিলবোর্ডের উপকরণ হোয়েনস্টাইন বাংলাদেশ থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এই টেস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ কোম্পানির পরীক্ষার ফলাফলে এই উপকরণকে পরিবেশবান্ধব বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

পৃথিবী সবুজ হয়ে উঠুক, পরিবেশ ভালো থাকুক—এই প্রত্যাশা নিয়েই গ্রামীণফোন কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।