‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণায় নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রিট আদেশের জন্য কার্যতালিকায়
প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাদের নিয়ে গঠিত বর্তমান সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণা করতে গেজেট প্রকাশে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটটি আগামীকাল রোববার আদেশের জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় উঠেছে।
আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের রোববারের কার্যতালিকায় রিটটি আদেশের জন্য ৬৬ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন গত অক্টোবরে রিটটি করেন। ২৬ নভেম্বর রিটের ওপর শুনানি হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এস এম শাহরিয়ার কবির।
জানতে চাইলে আজ আইনজীবী এ এস এম শাহরিয়ার কবির প্রথম আলোকে বলেন, রিটটি আদেশের জন্য আদালতের রোববারের কার্যতালিকায় এসেছে। মধ্যাহ্নবিরতির পর আদেশ হতে পারে।
রিটে গত ৮ আগস্ট গঠিত সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ হিসেবে ঘোষণায় গেজেট প্রকাশে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে জীবন উৎসর্গকারী ও যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণায় গেজেট প্রকাশে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, এ বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও জাতীয় সংসদের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের যুক্তি সম্পর্কে আইনজীবী শাহরিয়ার কবির প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ইতিমধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৫৭ ও ৫৮ অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের পদের মেয়াদ উল্লেখ রয়েছে। এই দুটি অনুচ্ছেদ অনুসারে পরবর্তী উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাঁরা নিজ নিজ পদে বহাল থাকবেন। এ অনুসারে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন না হলে সংবিধানের ১২৩(৩) (খ) অনুচ্ছেদ ভঙ্গ হবে। আর এই লঙ্ঘনের জন্য বর্তমান সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধসহ প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে। এসব যুক্তি তুলে ধরে বর্তমান সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।