বেদখল দেবোত্তর সম্পত্তি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ পরিষদ নামের একটি সংগঠন। তারা বলেছে, অনেক দেবোত্তর সম্পত্তি জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে থাকে। দেবোত্তর সম্পত্তি হিন্দুদের, তা হিন্দুদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এই দাবি জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বড়াল। তাতে বলা হয়েছে, সব ধরনের অবৈধ দখল ও দাবি বাতিল করে হিন্দু সম্প্রদায়কে চিরস্থায়ী দেবোত্তর সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে হবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকজন ঈশ্বরের উদ্দেশে সম্পত্তি উৎসর্গ করলে তাকে বলে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে। দেশে বহু মঠ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয় দেবোত্তর সম্পত্তিতে গড়ে উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এসবের বড় একটা অংশ বেদখল আছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির, রমনা কালীমন্দিরসহ ঢাকাতেই বহু মন্দিরের সম্পত্তি বেদখল আছে।
তবে কী পরিমাণ দেবোত্তর সম্পত্তি বেদখল আছে, সেই হিসাব দিতে পারেনি দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছে, বেদখল দেবোত্তর সম্পত্তির তথ্য সংগ্রহের কাজ তারা চলমান রেখেছে। তাদের অভিযোগ, রাষ্ট্র, ক্ষমতাসীন দলের লোকজন, ভূমিদস্যুরা এসব সম্পত্তি বেদখলে রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সাজন কুমার মিশ্র বলেন, যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে, সেই সরকারের লোকজন দেবোত্তর সম্পত্তি দেখল করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধারসহ সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের মতো ১৫ দফা দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি পিন্টু মিশ্র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি মোহন লাল হাওলাদার, ঢাকা মহানগরের সভাপতি গোপীনাথ সাহা প্রমুখ।