অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার সম্পদের বিষয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট

হাইকোর্টফাইল ছবি

অধস্তন আদালতের প্রায় অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার ‘অবিশ্বাস্য সম্পদ’ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। এর আগে ‘অবিশ্বাস্য সম্পদ অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার’ শিরোনামে গত ১৪ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আমিমুল এহসান জুবায়ের।

পরে আইনজীবী মো. আমিমুল এহসান জুবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ সোমবার রিটটি দাখিল করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।’

এর আগে গত ১৪ অক্টোবর প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার অবিশ্বাস্য সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের অনেকেই অবৈধ উপায়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কেউ কেউ আবার হাজার কোটি টাকার মালিক। অনেকের আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে দেশে–বিদেশে। কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি কিনেছেন বেশ কয়েকজন। শত শত বিঘা জামির মালিকানা অর্জন করেছেন কয়েকজন। দুদকের গোয়েন্দা শাখার গোপন অনুসন্ধানে বিচার বিভাগের ৫১ জনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁদের নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে।

রিটের প্রার্থনায় বলা হয়, ‘অবিশ্বাস্য সম্পদ অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার’ শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে অধস্তন আদালতের বিচারক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ ও দুর্নীতির বিষয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ দুদক ও অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।