খাবারের পাত্রে হাতধোয়া পানি পড়া নিয়ে মারামারি, ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

খাবারের পাত্রে হাতধোয়া পানি পড়ে যাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতার নেতৃত্বে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তবে অভিযুক্ত নেতারা বলেন, খাবারের পাত্রে হাতধোয়া পানি পড়ার পর ওই শিক্ষার্থীর অসদাচরণের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। 

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুরে, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসিসংলগ্ন ফটকে ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে।  এই ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি–বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রায়হান এবং বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়নবিষয়ক উপসম্পাদক সাকিবুল সুজন।

আর তাঁদের বিরুদ্ধে প্রক্টরের কাছে অভিযোগ করেছেন টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী সামাদ আকন্দ। তিনি থাকেন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে।

লিখিত অভিযোগে সামাদ আকন্দ বলেছেন, আমি ও আমার এক বন্ধু দুপুরের খাবার খেতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের  টিএসসিসংলগ্ন ফটকে যাই। আমরা যখন খাবার নিতে যাই, তখন আমার হাত থেকে এক ফোঁটা পানি দোকানের খাবারের পাত্রে পড়ে। তখন সাকিবুল সুজন ও মেহেদী হাসান আমাদের বাজে কথা বলেন। আক্রমণাত্মক হয়ে তাঁরা আমাদের গায়ে হাত তোলেন। ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে আসতে চাইলে, পাঁচ থেকে ছয়জন আমাদের ওপর হামলে পড়ে। 

হামলায় মুখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হওয়ার কথা উল্লেখ করে সামাদ আকন্দ আরও বলেন, এই হামলায় তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে ক্যাম্পাসে সবার নিরাপদে চলাফেরার অধিকার নিশ্চিত করার আবেদন জানান তিনি।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামাদ আকন্দ আমাদের খাবারের পাত্রের পাশে দাঁড়িয়ে ভেজা হাত ঝাড়া দেন। এ সময় তাঁর হাত ধোয়া পানি খাবারের পাত্রে পড়ে। সাকিবুল সুজন বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানালে সামাদ তাঁকে বলেন, "তুই কে? তুই এগুলা বলার কে?" এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সামাদ সাকিবুলের গায়ে হাত দেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সামাদও আমাদের মারধর করেছেন।'

এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাকসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথাও বলেছি। এই ঘটনায় নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।