বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ বলেন, ‘বিগত দিনগুলো ভারত কুক্ষিগত করে রেখেছিল বাংলাদেশকে। আমাদের দেশ নিয়ে ভারত ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশে কী হবে, তা ঠিক করবে ঢাকা, চট্টগ্রাম। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে দেওয়া-নেওয়ার। বাংলাদেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারত কেউ না। বাংলাদেশে সবাই মিলেমিশে বসবাস করছে।’
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নগরের ষোলশহর রেলস্টেশনে এ সমাবেশ করে। এ সময় বক্তারা যাঁরা বাংলাদেশি পতাকা পুড়িয়েছেন, তাঁদের বিচার দাবি করেন।
আজ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের সমর্থকেরা এ হামলা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ছাত্র-জনতা ষোলশহর স্টেশন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা ‘হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, বাংলাদেশ ভয় নাই’ স্লোগান দিতে থাকে। এতে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ভারতীয় দালাল কিছু সংগঠন উসকানি দিয়ে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। ছাত্র-জনতা এ ষড়যন্ত্র রুখে দেবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, ‘ভারত তার আধিপত্য বিস্তারের জন্য বারবার স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। ভারতের ষড়যন্ত্রে দেশে বিডিআর হত্যা সংঘটিত হয়েছে। ভারত সীমান্তে আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে। ফেলানী হত্যার এখনো কোনো বিচার হয়নি।’
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির সমর্থকদের হামলার ঘটনা বাংলাদেশ সরকারকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। সেখানে নানা ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে আগ্রাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আজ সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে আজ ভোরে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দলের হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে ক্ষুব্ধ।