পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। ওই দেশের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মচারীর সঙ্গে আমাদের বেশ কিছুদিন ধরে অনেক যোগাযোগ হচ্ছে। একজনও বলে নাই যে ঝড় আসছে। আপনারা (মিডিয়া) এগুলো বানান। আপনাদের মাথা-মগজের মধ্যে কিছু গন্ডগোল আছে।’
আজ রোববার বিকেলে মার্কিন প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের খবরে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাকে ‘মার্কিন ঝড় আসছে’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে—এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় তো বেশি বাড়িয়ে বলে।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং এর থেকে বেশি কিছু চায় না। তারা কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেনি। এই শব্দই কারও মুখ থেকে উচ্চারিত হয়নি। এ ছাড়া অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের বিষয়টিও কেউ বলেনি।
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কথাও আসছে গণমাধ্যমে—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো তো আপনারা ডেকে আনছেন। আপনারা কি নিষেধাজ্ঞা চান? আপনারা বোধ হয় চান। সে জন্য ডেকে আনছেন। তারা শুধু একটা ভিসা নীতি করেছে। তারা চায় একটা স্বাধীন এবং সার্বভৌম সরকার। এসব ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরাও স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। আমরাও নিজের ইচ্ছেমতো...।’
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ১৫ সংসদ সদস্য দেশটির সরকারপ্রধানের কাছে বাংলাদেশ নিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা ওসব নিয়ে অত চিন্তিত কেন? দুনিয়ার অনেক জায়গায় আমরা টাকা দিয়ে কথা বলাতে পারি। টাকা দিলে গান গাইবে। ছয়জন কংগ্রেসম্যান একটা চিঠি দিয়েছে। পরে জানা গেল, তারা না জেনে করেছে। যেটা ছিল লজ্জাজনক। আমরা অস্ট্রেলিয়াকে বিষয়টা জানাব, তাদের তথ্য ঠিক না। তখন তারা হয়তো বুঝতে পারবে, এটা ঠিক না।’
মার্কিন সিনেটর বব মেনেনডেজের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার তিনবারের সিনেটর, শক্তিশালী ব্যক্তি। তিনি নাকি টাকা খেয়ে উল্টাপাল্টা কাজ করেছেন। এগুলো দুনিয়াতে হয়। সে সিনেটর হলে, কংগ্রেসম্যান হলে, এমপি হলে টাকা খায় না, এটার তো নিশ্চয়তা আমরা কেউ দিতে পারি না।’