বান্দরবানে দুর্ঘটনায় আহতদের একজনকে ঢাকায় স্থানান্তর, দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন

পাহাড়ি খাদে পড়ে যাওয়া জিপ গাড়িছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে পর্যটকবাহী জিপ গাড়ি পাহাড়ি খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তিনজনের মধ্যে একজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গতকাল শনিবার বান্দরবানে রুমা-বগালেক-কেওক্রাডং সড়কে একটি পর্যটকবাহী জিপ গাড়ি পাহাড়ি খাদে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীসহ দুই পর্যটক মারা যান। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন। হতাহতরা সবাই নারী। ‘ভ্রমণকন্যা’ নামের একটি সংগঠনের হয়ে তাঁরা কেওক্রাডং ভ্রমণে গিয়েছিলেন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনকে গতকাল রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁরা হলেন আছিয়া বেগম (৬৫), তাহমিনা তানজিম তালুকদার (১৯) ও নুসরাত জাহান (৩০)।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, তিনজনের মধ্যে সকালে নুসরাত জাহানকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি দুজন ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চিকিৎসকেরা বলেছেন, আছিয়া ও তাহমিনার দীর্ঘ চিকিৎসা প্রয়োজন। আছিয়া বেগম বুকের পাঁজরে আঘাত পেয়েছেন। আর তাহমিনা তানজিম হাত ও পায়ে ব্যথা পেয়েছেন।

আহত নুসরাত জাহান প্রথম আলোর সহসম্পাদক সজীব মিয়ার স্ত্রী। ওই দুর্ঘটনায় নুসরাতের মা ফিরোজা বেগম (৫৩) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়নাব খাতুন (২৪) মারা যান। জয়নাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা গেছে, ‘ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ-ভ্রমণকন্যা’ সংগঠনের ৫৭ জনের একটি দল চারটি চাঁদের গাড়ি নামে পরিচিত ফোর হুইল জিপ গাড়িতে গতকাল সকালে বগালেক থেকে কেওক্রাডং পাহাড় চূড়ায় গিয়েছিলেন। কেওক্রাডং ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে দার্জিলিংপাড়া ও রুমসংপাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়।

অন্য গাড়িতে থাকা ভ্রমণকারীরা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়।