যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশের উন্নয়নে খুব আগ্রহী: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বিক পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের আগ্রহ আছে। বাংলাদেশের অগ্রগতিতেও তাদের আগ্রহ আছে। এই আগ্রহ থেকে বোঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী রকম আছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘মাঠে যে কথাগুলো শুনছি বা আলোচনা হচ্ছে, বাস্তব কার্যক্রমের সঙ্গে এগুলোর কোনো মিল দেখছি না। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য খুবই আগ্রহী।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ। আজ মঙ্গলবার পিটার হাস সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারপরই এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় মার্কিন দূতাবাসের ইকোনমিক অফিসার জেমস গার্ডিনার উপস্থিত ছিলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দেশ পরিচালনা করছেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেটির প্রশংসা করেছেন। স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর যে কার্যক্রম, সেটিরও প্রশংসা করেছেন।
এসব প্রশংসা সরকারের সামগ্রিকভাবে উন্নয়নের প্রশংসা। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গিটা কী।’
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেরিটাইম সেক্টরের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছুদিন আগে আমাদের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় অভ্যন্তরীণ নৌপথ এবং মেরিটাইম সেক্টরে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। সে সময় মার্কিন ব্যবসায়ী ও এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। সেসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর ও পায়রা বন্দরে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ফায়ার ফিটিংসের চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করছে। হঠাৎ বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কাজ করতে মার্কিন সহযোগিতা চেয়েছি, তারা সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’