চসিকের ‘গলাকাটা’ গৃহকর প্রত্যাহারের দাবি
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্ধারিত নতুন গৃহকর ‘গলাকাটা’ উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ।
শুক্রবার বিকেলে নগরের কদমতলী আবুল খায়ের মেম্বার চত্বরে এক সমাবেশ থেকে সংগঠনটি এই দাবি জানায়। ‘গলাকাটা হোল্ডিং ট্যাক্স আইন বাতিল করো, দৈর্ঘ্য–প্রস্থ গুণ করে তার ওপর কর ধরো’ শীর্ষক স্লোগানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি নুরুল আবছার।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমির উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস, সংগঠক হাসান মারুফ, পরিষদের নেতা হারুনুর রশীদ, মফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম, মুজিবুল হক, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশে স্বতস্ফুর্তভাবে সাধারণ নাগরিকেরাও অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে এমনকি বাংলাদেশের কোনো সিটি করপোরেশন বা পৌর এলাকায় বাড়ি ভাড়ার ওপর গৃহকর ধার্যের কোনো নজির নেই। বাড়ির মালিকেরা বাড়ি ভাড়ার ওপর বিধি মোতাবেক আয়কর দেন। তাই একই আয়ের ওপর গৃহকর নির্ধারণ করা এক মুরগিকে দুবার জবাইয়ের সামিল।
তাঁরা আরও বলেন, গ্যাস পানি বিদ্যুৎসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামবাসীও আজ দিশেহারা। বছরের অর্ধেক সময় চট্টগ্রামের অর্ধেক পানির নিচে ডুবে থাকে। সড়কবাতি, পয়ঃনিষ্কাশনের বেহাল দশা। নূন্যতম নাগরিক সুবিধা নেই। অথচ বর্তমান মেয়র তাঁর কর না বাড়ানোর নির্বাচনী অঙ্গীকার ভুলে অধিক করের বোঝা নগরবাসীর ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।
বক্তারা অবিলম্বে ভাড়ার ওপর কর নির্ধারণ বাতিল করে গৃহ পরিমাপের ভিত্তিতে কর নির্ধারণের জোর দাবি জানান।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আমলে করা পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়ন কার্যক্রম আন্দোলনের মুখে স্থগিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ তুলে নেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এখন সে গৃহকর আদায় কার্যক্রম শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর ভবনমালিকদের ঠিকানায় পাঠানো হচ্ছে গৃহকর পরিশোধের নোটিশ। এতে বিপাকে পড়েছেন নগরের অনেক ভবনমালিক।