স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ডিজিটাল লেনদেনের সঙ্গে গৃহকর্মীসহ প্রান্তিক জনগণের সম্পৃক্ততা জরুরি। মুঠোফোনের আর্থিক সেবার মাধ্যমে বেতন নিলে গৃহকর্মীদের অর্থের সঞ্চয় হয়। এর প্রভাব পড়ে তাঁদের জীবনমানে।
‘গৃহকর্মীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে এসব কথা। সোমবার বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, গৃহকর্মীদের পলিসি আছে। তবে এখন আইন হওয়াটা জরুরি। আইন হলে গৃহকর্মীদের কর্মঘণ্টা, সঞ্চয়, ন্যূনতম মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে অনেক কাজ করা যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মো. মাইনুল হক ভূঁইয়া ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন বিভাগ) উপপরিচালক আয়শা সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা ছিলেন মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশের পে রোল বিজনেস কমার্শিয়াল বিভাগের প্রধান এ টি এম মাহবুব আলম এবং নগদের করপোরেট সেলস ও বিজনেস সেলসের প্রধান হেদায়েতুল বাশার। তাঁদের বক্তব্যেও উঠে আসে প্রযুক্তির সহায়তায় গৃহকর্মীদের বেতন দেওয়ার গুরুত্বের কথা।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ‘সূচনা’ প্রকল্পের মাধ্যমে চার হাজারের বেশি গৃহকর্মী এমএফএসের মাধ্যমে বেতন নিচ্ছেন। ২৫ মাস মেয়াদি এই প্রকল্পের ২২ মাস শেষে একটি চূড়ান্ত মূল্যায়ন হয়। এর ওপর ভিত্তি করে একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করে এমজেএফ। এতে দেখা যায়, এই গৃহকর্মীদের ৮৫ শতাংশই তাঁদের বেতনের কিছু অংশ জমা করতে পারছেন। তাঁদের জীবনমানেও পরিবর্তন এসেছে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহকর্মীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পাশাপাশি সামাজিক অবস্থানেরও পরিবর্তন আসবে। ফলে নারী সমাজে সচেতনতা বাড়বে।