আলিশান বাড়ির মালিক যখন ‘ভূমিহীন’
দুই উপজেলায় খাসজমি বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম। অনেক ভূমিহীন বঞ্চিত, জমি পেয়েছেন বিত্তবান ব্যক্তিরা।
হোসেন মৃধা বাড়ির সামনে হাতল লাগানো চেয়ারে বসে ছিলেন। তাঁর বয়স প্রায় ৮০ বছর। পাশাপাশি তিনটি পাকা বাড়ি তাঁর তিন ছেলের। বড় ছেলে আবদুস সালাম মৃধা দুবাইয়ে, মেজ ছেলে আলাউদ্দিন মৃধা ও ছোট ছেলে মহিউদ্দন মৃধা সৌদি আরবপ্রবাসী। ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের
চর দড়িকান্দা মৌজার এই গ্রামের নামও হোসেন মৃধার নামে, হোসেনপুর। গ্রামের পাকা সড়কের ওপরেই বাড়ি। সড়কের ওপারে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।
হোসেন মৃধা জানান, মাঠেও তাঁদের পৈতৃক জমি রয়েছে। তবে তাঁর তিন ছেলেই খাসজমি বরাদ্দ পেয়েছেন। অথচ খাসজমি ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণ করার সরকারি নির্দেশ রয়েছে।
সম্প্রতি এক বিকেলে হোসেনপুরে গিয়ে কথা হয় হোসেন মৃধার সঙ্গে। তিনি কিছুটা অসুস্থ। তাঁকে কথা বলতে সহায়তা করছিলেন তাঁর তিন পুত্রবধূ শারমিন, ফাতেমা ও উম্মে হানি। তাঁরা জানান, তাঁদের স্বামীদের নামে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে খাসজমি বরাদ্দ হয়েছে। দলিলও সম্পন্ন হয়েছে। তবে জমির পরিমাণ বা কীভাবে তাঁরা খাসজমির বরাদ্দ পেলেন, তা তাঁরা জানেন না।
আরেক দিন পাশের উপজেলা দোহারের মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (সদ্য সাবেক) তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, সড়কসংলগ্ন প্রাচীরঘেরা বিশাল পাকা বাড়ি। সামনে ফুলের বাগান ও সবজিখেত। প্রায় ৭০ বিঘা জায়গা নিয়ে তাঁদের এই পারিবারিক বাড়ি। তবে ভূমিহীন হিসেবে তাঁর ছেলে, মেয়ে, জামাই, ভাইসহ মোট ২০ জন খাসজমির বরাদ্দ পেয়েছেন। বরাদ্দপ্রাপ্তির কথা তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, নবাবগঞ্জ ও দোহারে কৃষি খাসজমি বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। সম্প্রতি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খাসজমি বিতরণ করা হয়েছে বিত্তবান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে। যাঁরা খাসজমির বরাদ্দ বা ইতিমধ্যে দলিলের মাধ্যমে মালিকানা পেয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই সৌদি আরব, দুবাই, কাতার, কুয়েত, ইরাক, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে চাকরি করছেন। কেউ অনেক বছর প্রবাসে চাকরি শেষে দেশে ফিরে ব্যবসা করছেন। তাঁদের প্রায় সবারই গ্রামে একতলা বা দোতলা বাড়ি। গাড়িবারান্দায় লাল টালির ছাউনি, দোতলার খোলা ঝুলবারান্দায় বাহারি ফুলের গাছ লাগানো।
এ ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য, রাজনীতিক, ব্যবসায়ীরা বরাদ্দ পেয়েছেন খাসজমি। বাদ পড়েননি সাংবাদিকেরাও। অথচ যাঁদের এসব জমি পাওয়ার অগ্রাধিকার, সেই নিঃস্ব মানুষেরাই বঞ্চিত হয়েছেন। প্রচণ্ড ক্ষোভের সঙ্গে নবাবগঞ্জের হায়াতকান্দা গ্রামের অটোচালক আবুল কালাম বলছিলেন, ‘যাদের টাকা আছে, তারাই জমি পায়। যাদের টাকা নাই, তাদের জমিও নাই।’ সড়কের মোড়ে টিনের ছাপরায় থাকেন তিনি। খাসজমির জন্য আবেদন করেছিলেন; তবে পাননি। তাঁর মতো নিঃস্ব অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ভূমি অফিসের একশ্রেণির অসাধু লোকের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রভাবশালীরাই খাসজমি বরাদ্দ নিয়েছেন।
পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের কারণে এই দুই উপজেলায় বহু মানুষ তাঁদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তবে তাঁদের মোট সংখ্যা জানা যায়নি।
খাস কৃষিজমি বরাদ্দের বিষয়ে সরকারি নীতিমালায় ভূমিহীনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘যে পরিবারের বসতবাড়ি ও কৃষিজমি কিছুই নেই কিন্তু পরিবারটি কৃষিনির্ভর, তাই ভূমিহীন। এ ছাড়া যে পরিবারের ১০ শতাংশ পর্যন্ত বসতবাড়ি আছে কিন্তু কৃষিজমি নেই, সেই পরিবারও ভূমিহীন গণ্য হবে। তবে বসতবাড়ির সঙ্গে কৃষিজমি থাকলে তারা ভূমিহীন হিসেবে খাসজমি পাবে না।’
নীতিমালা অনুসারে, থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির সদস্যসচিব হবেন। তাঁর নেতৃত্বে কমিটি সরেজমিনে যাচাই করে প্রকৃত ভূমিহীনদের খাসজমি বরাদ্দ দেবে; কিন্তু বাস্তবে এই দুই উপজেলায় তা করা হয়নি বলে অভিযোগ।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পাওয়া গেল নবাবগঞ্জের তালিকা
নবাবগঞ্জে খাস কৃষিজমি বরাদ্দ নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল হালিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রথম আলোর এই দুই প্রতিবেদক। খাসজমি বরাদ্দে অনিয়ম করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। খাসজমি বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা চাইলে আবদুল হালিম রেগে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘খাসজমি যাদের পাওয়ার কথা, তারাই পেয়েছে। সাংবাদিকদের এই তালিকার দরকার কী?’ তিনি জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে তালিকা নিতে বলেন।
এরপর জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে খাসজমি বরাদ্দের তালিকা দিতে নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে দুটি তালিকা দেওয়া হয়। এর একটিতে ৪৪ জন ও অপরটিতে ২৪ জন, মোট ৬৮ জনের নাম রয়েছে।
ওই তালিকা ধরে নবাবগঞ্জের খাসজমি বরাদ্দপ্রাপ্ত ৩৩ জনের বাড়িতে যান এই দুই প্রতিবেদক। তাঁরা সবাই সচ্ছল। পাকা বাড়ি ও অনেকের যথেষ্ট জমিজমা আছে। জমি বরাদ্দ পেতে কোনো আর্থিক লেনদেন করতে হয়েছে কি না, জানতে চাইলে কেউ কেউ বলেন, কোনো টাকা লাগেনি। আবার কেউ বলেন, কিছু খরচ তো আছেই। যেমন মানিকগঞ্জ সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত সোনাবাজু গ্রামের হিউবার্ট গমেজ, রোমিও শিমুল গমেজ ও চার্লস ক্লাউস গমেজ খাসজমির বরাদ্দ পেয়েছেন। সোনাবাজু বাজার থেকে খানিকটা সামনেই প্রধান পাকা সড়কসংলগ্ন তাঁদের টিনের প্রাচীরঘেরা বাড়ি। খাসজমির বরাদ্দ ও অন্য জমিজমার কাগজপত্র ঠিক করতে কিছু খরচ করতে হয়েছে বলে তাঁরা জানান।
ধলেশ্বরী নদীর পারে কৈলাইল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রাম। এই গ্রামের খান পরিবার ধনে-জনে সুপরিচিত। অনেক বড় জায়গা নিয়ে তাঁদের পাকা বসতবাড়ি। একটি উঠানের সামনে বাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে তৈরি। বাগানবাড়ির মতো সুদৃশ্য বাড়ি করেছেন কেউ। সামনে টিনের ছাউনি দেওয়া গবাদিপশু পালনের জায়গা।
খান পরিবারের ভাই–ভাতিজা মিলিয়ে ১১ জন খাসজমির বরাদ্দ পেয়েছেন। তাঁরা হলেন আলী আকবর, মো. রিয়াজুল, মো. শামিম খান, মো. নূরুজ্জামান, নূর আলম খান, জহিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম খান, মো. ফারুক, মো. আনছার, আনোয়ার হোসেন খান ও মনির খান। তাঁদের মধ্যে এখন পাঁচজন সৌদি আরব, কুয়েত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় কর্মরত। তাঁদের পরিবারের পক্ষে বড় ভাই আবদুর রহিম খান জানান, চরের প্রায় ছয় বিঘা খাসজমি তাঁরা বরাদ্দ পেয়েছেন। অনেক দিন ধরে ওই জমি তাঁদের দখলে রয়েছে। তাঁরাই চাষাবাদ করছেন। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ধলেশ্বরীর চরে বেশ কিছু খাসজমি রয়েছে। সেসব জমির দখল নিয়ে ভূমিহীন ও প্রভাবশালীদের মধ্যে বহুবার দাঙ্গা হয়েছে। ঘটেছে হতাহতের ঘটনা।
শোল্লা ইউনিয়নের হায়াতকান্দা গ্রামের প্রয়াত আস্কর মোল্লা এলাকায় সুপরিচিত ছিলেন। তাঁর নাম বলতেই লোকজন বাড়িটি দেখিয়ে দেন। দেয়ালে নীল রঙের টাইলস। বাড়ির সামনে অনেকটা জায়গায় মেহগনিগাছের বাগান, বাঁশঝাড়। সেসব পেরিয়েই মোল্লাবাড়ি যেতে হয়। সেদিন দুপুরে বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করছিলেন আস্কর মোল্লার স্ত্রী রহিমা বেগম। তিনিই খাসজমি বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি জানান, জমি কীভাবে পেয়েছেন, তা বলতে পারবেন না। এই জমি অনেক দিন থেকেই তাঁদের ভোগদখলে আছে। কাগজপত্র তৈরি করেছেন তাঁর দুই ছেলে আসলাম মোল্লা ও কামাল মোল্লা। তাঁরা ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে চাকরি করছেন।
কৈলাইলের দড়িকান্দা গ্রামের ব্যাপারীবাড়ি এলাকায় বেশ পরিচিত। সেই বাড়ির হিরু ব্যাপারীর দুই ছেলে মো. জুয়েল ও ফারুক হোসেন এবং তাঁদের আরেক ভাই মো. আরিফও খাসজমির বরাদ্দ পেয়েছেন। জুয়েলের স্ত্রী সোহাগী জানান, জুয়েল তাঁর মাকে নিয়ে ওমরাহ করতে গেছেন। তাঁদের পরিবারের অনেকেই সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় চাকরি করেন। প্রত্যেকের আলাদা পাকা ঘরবাড়ি। সামনে গরুর খামার। মাঠেও জমিজমা রয়েছে। নিজেরাই কৃষিশ্রমিক দিয়ে চাষাবাদ করেন। কিছু খাসজমির বরাদ্দ তাঁরা পেয়েছেন, তা জানেন। এর বেশি কিছু জানেন না বলে তিনি জানান।
নবাবগঞ্জের শোল্লা ইউপি চেয়ারম্যান ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ভূমি বরাদ্দ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তিনি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই বেশির ভাগ ভূমিহীনকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কৈলাইল ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমেদ স্বীকার করেন, তাঁর ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায় ভূমিহীনদের ভূমি বরাদ্দের বিষয়ে কিছুটা অনিয়ম হতে পারে। এতে কয়েকজন বিত্তশালী ও প্রবাসীর পরিবার জমি বরাদ্দ পেতে পারে।
এখন তিনি বিব্রত
দোহার উপজেলায় গত তিন বছরে ১০৯ জনকে ভূমিহীন হিসেবে খাসজমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে ইতিমধ্যে জমির দলিল বুঝে পেয়েছেন। অনেকে দলিল পাননি, প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম দফায় বরাদ্দ পাওয়া ৬৭ জনের তালিকা খতিয়ে দেখা গেছে, অনেকেরই স্থাবর সম্পত্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য, পাকা ঘরবাড়ি রয়েছে।
দোহারে মাহমুদপুর ইউনিয়নের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের তিন ছেলে, এক মেয়ে, ছোট ভাই ও তাঁর স্ত্রী, চার ভাতিজা ও তাঁদের স্ত্রী, তিন ভাগনে ও তাঁদের স্ত্রীসহ মোট ২০ জন খাসজমি বরাদ্দ পেয়েছেন। তোফাজ্জেল জানান, তাঁর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা খাসজমির বরাদ্দ পেলেও এখনো দলিল বুঝে পাননি।
তাঁর এই বিশাল বাড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলে তোফাজ্জেল বলেন, ‘এটি তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি।’ তাহলে কেন খাসজমির জন্য আবেদন করেছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বাড়ির জায়গা খাস খতিয়ানভুক্ত হয়ে গেছে।’ এরপর বলেন, এই বাড়ি এখন তাঁর, কিন্তু তাঁর ছেলেমেয়ে, ভাই–ভাতিজাদের নামে কোনো সম্পত্তি নেই। সে কারণে তাঁরা খাসজমি পেতে পারেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তোফাজ্জেল হোসেন জানান, মাহমুদপুর ও আশপাশের এলাকায় পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনকবলিত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। তাহলে এত বিপুলসংখ্যক ভূমিহীন লোক থাকতে তিনি নিজ পরিবারের এত সদস্যের জন্য খাসজমি বরাদ্দের সুপারিশ করলেন কেন? এর জবাব দিতে গিয়ে তিনি কিছুটা বিব্রতবোধ করেন। একসময় তিনি স্বীকার করেন, কাজটি নৈতিকভাবে ঠিক হয়নি। এরপর থেকে যেন প্রকৃত ভূমিহীনেরা খাসজমি পান, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দোহার এলাকায় এই চেয়ারম্যানের পরিবার ছাড়াও অনেক বিত্তবান ব্যক্তি খাসজমি পেয়েছেন। এ ছাড়া দোহারে টিভি চ্যানেল ও জাতীয় দৈনিকের চার সাংবাদিক খাসজমি পেয়েছেন, যাঁদের সবার বাড়ি ও স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।
দোহারে সরেজমিনে খোঁজ নিতে গিয়ে অবশ্য খাসজমি পাওয়া বেশ কয়েকটি পরিবার পাওয়া গেছে, যারা প্রকৃতই ভূমিহীন। এসব পরিবারের মধ্যে বড় ইকরাশী গ্রামের পাঁচ ভাই বাবুল হোসেন, বেলাল হোসেন, চান মিয়া, মোতালেব হোসেন ও শরিফুল রয়েছেন। বড় ভাই বাবুল জানান, তাঁরা সবাই দিনমজুর। দেখা গেল, বরাদ্দ পাওয়া জমিতে টিনের ছাপরা তুলে তাঁরা মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করেছেন। খাসজমি বরাদ্দ পাওয়া আরও কয়েকজন ভূমিহীন বলেন, বরাদ্দ পেতে কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি।
খাসজমি বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে দোহারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সবে তিনি এই উপজেলায় বদলি হয়ে এসেছেন। এখনো তিনি কোনো খাসজমি বরাদ্দ অনুমোদন করেননি। কেউ অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেনি। অনিয়ম পাওয়া গেলে উচ্চপর্যায়ে জানাবেন।
নবাবগঞ্জের ৩৩ জন ও দোহারের অন্তত ২৫ জনের খাসজমি বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে জানালে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যদি নীতিমালার ব্যত্য়য় ঘটে, তবে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেবেন, যেন কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির সভা করে বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা নতুন করে পর্যালোচনা করা হয়। অনিয়ম পাওয়া গেলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে।