ভারত বিচিত্রা দুই দেশের বন্ধুত্বের সেতু: ভারতীয় হাইকমিশনার

ভারত বিচিত্রার বিশেষ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও ভারতবিষয়ক প্রচারের ক্ষেত্রে ভারত বিচিত্রা দারুণ ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি পত্রিকাটিকে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় ভারত বিচিত্রার একটি বিশেষ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রণয় ভার্মা এ মন্তব্য করেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পত্রিকাটির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত বিচিত্রার বিশেষ সংস্করণটি যৌথ পরম্পরা ও মূল্যবোধের পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্বের অগ্রগতিকে উদ্‌যাপন করে। এটি দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও স্থায়ী সম্পর্কের একটি নিদর্শন।

ভারত বিচিত্রার সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুগ্ধতার কথা জানান প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, দুই দেশের ইতিহাস, সমাজ, সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে ভারত বিচিত্রা। ৫০ বছর ধরে দুই দেশের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ককে ধারণ করছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, ‘ভারত বিচিত্রা মানেই বেলাল চৌধুরীর কথা মনে পড়ে। বেলাল ভাই বহু লেখককে সেই সময় একত্র করেছিলেন। ভারত বিচিত্রা থাকায় আমি লেখক হিসেবে জায়গা পেয়েছি। আমার মতো মানুষের লেখাও তিনি ছেপেছেন। একটি পত্রিকার ৫০ বছর টিকে থাকা অনেক বড় ব্যাপার।’

ভারত বিচিত্রার বিশেষ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা
ছবি: সংগৃহীত

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসের সম্পর্ক। একটি রক্তের বন্ধন। একটি দেশের মানুষ আরেকটি দেশের জন্য তাদের মাটিতে রক্ত ঝরিয়েছে। এই বন্ধন কখনো ছিন্ন হবে বলে মনে করি না।’

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘একটা পত্রিকা নিয়ে আয়োজন বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে দিগন্ত উন্মোচন করছে। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের লেখকদের লেখা আমরা এক মলাটে পাই। এই দ্বীপশিখা থাকলে আমাদের লেখকদের সংযোগ আরও বাড়বে।’

এ সময় কবিতা আবৃত্তি করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা, ঝর্না রহমান ও ফারুক মাহমুদ। বক্তব্য পর্ব শেষে মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে মাসিক ভারত বিচিত্রা পত্রিকার সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক আতিউর রহমান, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি টোকন ঠাকুর, ভারত বিচিত্রার সাবেক সম্পাদক নান্টু রায় প্রমুখ।