গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাসের রায় বহাল

সুপ্রিম কোর্টফাইল ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা থেকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে ২০১২ সালের ৩০ জুলাই রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের সাজার রায় বাতিল করে মামুনকে খালাস দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এই লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর আপিল বিভাগ মামুনের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আবার আপিল শুনানি করতে নির্দেশ দেন। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন (রিভিউ) করেন মামুন। এর ধারাবাহিকতায় আপিল করেন তিনি। শুনানি নিয়ে এই আপিল মঞ্জুর করে আজ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে মামুনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অন্যতম আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে মামুনের ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছিল। আপিল মঞ্জুর হওয়ায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা বহাল রয়েছে। এ নিয়ে দণ্ড হওয়া তিনটি মামলায় খালাস পেলেন তিনি। আরও দুটি মামলায় তাঁর দণ্ড রয়েছে।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ ব্যক্তির সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে বলা হয়, যাঁদের মধ্যে মামুনও ছিলেন। ওই নোটিশের জবাবে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় ওই বছরের ৮ মে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামুন ও তাঁর তখনকার স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত রায় দেন। রায়ে মামুনকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং শাহিনা ইয়াসমিনকে ৩ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়। শাহিনা ইয়াসমিন হাইকোর্টে খালাস পেয়েছিলেন। তাঁর আপিলও আজ মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তাঁকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

আরও পড়ুন