আলু, ডিম, পেঁয়াজসহ কৃষিপণ্যের দাম বাড়ার ঘটনা অনুসন্ধানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ

আলু, ডিম ও পেঁয়াজ

উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করে আলু, ডিম, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের দাম বাড়ার ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাণিজ্যসচিবকে এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

‘নির্বিকার কর্তৃপক্ষ, পণ্য কিনে ঠকছেন ভোক্তা: আলুর কেজি এক লাফে বাড়ল ১৫ টাকা’ শিরোনামে গত ২৬ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে আলু, পেঁয়াজসহ কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষি বিপণন আইনের ৪(ছ) বিধান বাস্তবায়ন করে কৃষিপণ্য উৎপাদন এলাকায় বাজার অবকাঠামো স্থাপনে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে গত ডিসেম্বরে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।

এর আগে রিটের ওপর ২১ জানুয়ারি শুনানি হয়। সেদিন আদালত এক সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি আদালতে ওঠে।

আদালতে রিটের পক্ষে মনোজ কুমার ভৌমিক নিজে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

রিট আবেদনকারীর যুক্তি, উৎপাদন এলাকায় সরকার বাজারকাঠামো করবে—এটিই কৃষি বিপণন আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য। ২০১৮ সালের ওই আইনের ৪(ছ) বিধান অনুসারে সুষ্ঠু বিপণনের স্বার্থে কৃষিপণ্য উৎপাদন এলাকায় বাজার অবকাঠামো, গুদাম, হিমাগার ইত্যাদি নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা জোরদার করবে। কৃষি অধিদপ্তর এই কাজগুলো করতে বাধ্য। কিন্তু বিধানটির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসেছেন। তিনি ইতিমধ্যে কিছু উদ্যোগও নিয়েছেন। আইনের উদ্দেশ্য পূরণে আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে বিধান অনুসারে ভ্রাম্যমাণ আদালত দণ্ড আরোপ করতে পারে।

শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন। আলু, ডিম, পেঁয়াজসহ ইত্যাদি কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষি বিপণন আইনের ৪(ছ) বিধান বাস্তবায়নে দেশের উৎপাদন এলাকার সন্নিকটে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাজার কাঠামো নির্মাণে নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। কৃষিসচিব ও বাণিজ্যসচিবসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।