জঙ্গিবাদে ছেলেকে সমর্থন করেছেন জামায়াতের আমির: ডিএমপি কমিশনার

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক (সাইফুল্লাহ)
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, জামায়াত ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক জঙ্গিবাদে জড়িয়ে গেছেন। শফিকুর রহমান জেনেশুনে ছেলের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়াকে সমর্থন করেছেন। তাঁকে অর্থায়নও করেছেন। বাবার কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পেয়ে রাফাত অন্যান্য জঙ্গিদের সংগঠিত করেছেন।

আজ শনিবার রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এমবিবিএস পাস রাফাতকে গত ৯ নভেম্বর সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। পরে তাঁকে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। ১৩ ডিসেম্বর সিটিটিসি ঢাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেন শফিকুর রহমানকে।

আরও পড়ুন

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটানোর চেষ্টা করছে। ২০১২-১৩ সাল, ২০১৫-১৬ সাল কিংবা তাঁরও আগে (২০০৫-০৬) জঙ্গিবাদ উত্থানের চেষ্টা করা হয়েছে। জামায়াতের আমিরের ছেলে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সক্রিয় সদস্য হন। জঙ্গিদের অর্থায়নের কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

গত মাসে ঢাকার আদালত এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নজরদারিতে শুধু সেই দুজনই না, জঙ্গি ছিনতাইয়ে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুতই তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’

আরও পড়ুন

১০ নভেম্বর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, রাফাত সাদিকসহ এই জঙ্গি সংগঠনের লোকজন জিহাদে উদ্বুদ্ধ বেশ কয়েকজন যুবককে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

সিটিটিসি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, রাফাত সাদিক দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলের ধর্মভীরু যুবকদের জিহাদ ও জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। কোরআন প্রশিক্ষণের আড়ালে জঙ্গিবাদের দীক্ষা দিচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন